Rajasthan Crime News

চার বছরের সন্তানকে গলা টিপে হত্যা! দেহ পাশে নিয়েই রাতে ঘুমোলেন মা, পরে গ্রেফতার

রাজস্থানের জয়পুরের এক মহিলা নিজের সন্তানকে গলা টিপে হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ। সন্তানের দেহ পাশে নিয়েই রাত কাটিয়েছেন তিনি। পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করেছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ নভেম্বর ২০২৪ ২২:৫৭
Share:

সন্তানকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে মাকে। —প্রতীকী চিত্র।

চার বছরের সন্তানকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হল তার মাকে। ওই মহিলা সন্তানকে গলা টিপে হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ। তার পর সন্তানের দেহ সঙ্গে নিয়েই রাত কাটিয়েছেন। পরে তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

Advertisement

ঘটনাটি রাজস্থানের জয়পুরের বিরামপুর এলাকার। ধৃতের নাম সরিতা। উত্তরপ্রদেশের বারাণসীর বাসিন্দা তিনি। স্বামী, সন্তানকে নিয়ে থাকতেন রাজস্থানে। পারিবারিক অশান্তির কারণেই নিজের সন্তানকে তিনি খুন করেছেন বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে। পুলিশ জানিয়েছে, তাদের জেরার মুখে সন্তানকে খুন করার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন সরিতা। তবে কেন তাকে মারলেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত শিশুর নাম দীক্ষান্ত চৌধরী। বুধবার সকালে তার দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। স্টেশন হাউস অফিসার সুরেন্দ্র কুমার জানিয়েছেন, সকালে শিশুটিকে দুধ খাওয়ানোর জন্য তার ঠাকুমা ঘরে ঢোকেন। মায়ের পাশে শুয়ে থাকা শিশুটিকে অনেক ক্ষণ ধরে ডাকাডাকি করেন তিনি। কিন্তু কোনও সাড়া পাননি। এর পর আতঙ্কিত হয়ে তিনি আত্মীয়দের ডেকে পাঠান। শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

Advertisement

শিশুটির গলায় আঙুলের দাগ দেখা গিয়েছিল। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। শিশুটির মা প্রথমে ভুল তথ্য দিয়ে পুলিশকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছিলেন বলে অভিযোগ। তিনি জানিয়েছিলেন, তিনি কিছুই জানেন না। পরে পুলিশি জেরার মুখে তিনি স্বীকার করে নেন খুনের কথা। তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।

২০১৯ সালে সরিতার বিয়ে হয়েছিল। শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সঙ্গে তাঁর ঝগড়া চলছিল বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। তাঁর অভিযোগ, তিনি শ্বশুরবাড়িতে থাকুন, তা চান না বাকিরা। আবার উল্টো অভিযোগ করেছেন মহিলার শ্বশুরবাড়ির সদস্যেরাও। তাঁদের দাবি, সরিতাই তাঁদের সঙ্গে থাকতে চান না। সংসারে অশান্তির কারণেই সন্তানকে খুন করেছেন তিনি, প্রাথমিক ভাবে মনে করছে পুলিশ। পরিবারের বাকি সদস্যদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement