Assam Mine Rescue

অসমের খনি থেকে মিলল আরও তিন দেহ! এখনও ‘নিখোঁজ’ পাঁচ জন আটকে পড়া শ্রমিক

প্রথম দেহ উদ্ধার হয় বুধবার। শনিবার আরও তিন শ্রমিকের দেহ উদ্ধার হয়েছে। এই নিয়ে মোট চার জনের নিথর দেহ পাওয়া গেল খনি থেকে। তবে পাঁচ জন শ্রমিকের এখনও পর্যন্ত কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১১ জানুয়ারি ২০২৫ ১৬:১৯
Share:

সোমবার অসমের পরিত্যক্ত কয়লা খনিতে আটকে পড়েন ৯ জন। তাদের মধ্যে চার জনের দেহ এখনও পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে। —ফাইল চিত্র।

অসমের ডিমা হাসাও জেলার পরিত্যক্ত কয়লা খনি থেকে আরও তিন জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। মৃতদের মধ্যে এক জনের নাম লিগেন মগর। বছর সাতাশের ওই তরুণ ডিমা হাসাও জেলার কালামাটি এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। অপর দুই মৃতের নাম-পরিচয় এখনও প্রকাশ্যে আসেনি। খনির ভিতরে এখনও আটকে রয়েছেন পাঁচ জন। প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়া পর্যন্ত তাঁদের খোঁজ মেলেনি।

Advertisement

গত সোমবার ডিমা হাসাওয়ের উমরাংসোয় ওই পরিত্যক্ত খনিতে কয়লার খোঁজে নেমেছিলেন শ্রমিকেরা। তাঁদের মধ্যে ছিলেন জলপাইগুড়ির এক বাসিন্দাও। কিন্তু আচমকাই ওই খনিতে হু-হু করে জল ঢুকতে শুরু করে। ভিতরেই আটকে পড়েন ন’জন শ্রমিক। বুধবার তাঁদের মধ্যে এক জনের দেহ উদ্ধার হয়েছিল। গঙ্গাবাহাদুর শ্রেষ্ঠা নামে ওই শ্রমিক নেপাল থেকে এসেছিলেন কাজ করতে। এই নিয়ে চতুর্থ দেহ উদ্ধার হল অসমের ওই খনি থেকে। কয়লা খনির ভিতরে শ্রমিকেরা কী অবস্থায় রয়েছেন, তা-ও জানা যাচ্ছে না। সময় যত এগোচ্ছে আটকে পড়া শ্রমিকদের নিয়ে উদ্বেগ তত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, অসমের বিপর্যয় মোকাবিলা দল, ভারতীয় সেনা এবং নৌসেনা উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে। শনিবার উদ্ধার অভিযান ষষ্ঠ দিনে পড়েছে। এ দিন সকালে উদ্ধার কাজ শুরুর পর খনিতে জমা জলের উপর মগরের দেহ ভাসতে দেখা যায়। সেনা এবং জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ডুবুরিরা দেহটি বার করে আনেন। ডিমা হাসাও জেলার ওই খনিটি অবৈধ বলেও দাবি করা হচ্ছে। তবে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার দাবি, অবৈধ নয়, এটি পরিত্যক্ত খনি। ১২ বছর ধরে খনিটি পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে এবং তিন বছর আগে পর্যন্ত সেটি অসম খনিজ উন্নয়ন পর্ষদের অধীনে ছিল।

Advertisement

বস্তুত, বুধবারই উমরাংসোয় পৌঁছয় নৌসেনার একটি বিশেষ দল। বিশাখাপত্তনম থেকে তাদের আনা হয় উদ্ধারকাজের জন্য। দলে এক জন আধিকারিক এবং ১১ জন নাবিক রয়েছেন। প্রত্যেকেরই ডাইভিং এবং জটিল উদ্ধার অভিযানের প্রশিক্ষণ রয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement