অবৈধ অভিবাসীদের খুঁজতে লাগাতার অভিযান চলছে দিল্লি পুলিশের। —ফাইল চিত্র।
দিল্লিতে অবৈধ অভিবাসী সন্দেহ গত মাস থেকেই ধরপাকড় শুরু হয়েছে। উদ্ধার হয়েছে ভুয়ো নথিপত্র। এই সংক্রান্ত মামলার তদন্তে এ বার দিল্লির আপ সাংসদ মোহিন্দর গয়াল এবং তাঁর দফতরের কর্মীদের ডেকে পাঠাল দিল্লি পুলিশ।
ভুয়ো নথিপত্র সংক্রান্ত মামলায় ঠিক কোন ধরনের তথ্য সংগ্রহের জন্য দিল্লি পুলিশ তাঁকে ডেকে পাঠিয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে ‘ইন্ডিয়া টুডে’র এক প্রতিবেদনে দাবি করা হচ্ছে, উদ্ধার হওয়া ভুয়ো নথিপত্রে বিধায়কের সই পাওয়া গিয়েছে। বস্তুত, দিল্লিতে কোথাও কোনও অবৈধ অভিবাসী রয়েছেন কি না, তা খুঁজে বার করতে গত ডিসেম্বরে একটি নির্দেশিকা জারি করে দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নরের সচিবালয়। তার পর থেকেই দিল্লির বিভিন্ন প্রান্তে অভিযান শুরু করে পুলিশ। ইতিমধ্যে বেশ কয়েক জন অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীকে পাকড়াও করেছে পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে বেশ কয়েক জনকে এ দেশ থেকে বিতাড়নের প্রক্রিয়াও শুরু করা হয়েছে।
‘ইন্ডিয়া টুডে’র প্রতিবেদনে দাবি করা হচ্ছে, এখনও পর্যন্ত ৩০ জনেরও বেশি বাংলাদেশি অভিবাসীকে পাকড়াও করে ভারত থেকে বার করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অবৈধ অভিবাসীরা জাল নথিপত্র ব্যবহার করে এ দেশে থাকছিলেন বলে অভিযোগ। অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীদের জন্য নথি জাল করে দেওয়ার একটি চক্রও সক্রিয় রয়েছে বলে সন্দেহ করছে পুলিশ। সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, দিল্লিতে প্রায় ১৭৫ জনকে অবৈধ অভিবাসী সন্দেহে চিহ্নিত করেছে পুলিশ। তাঁদের খুঁজে বার করতে দিল্লির বিভিন্ন প্রান্তে চিরুনি তল্লাশিও শুরু হয়েছে। এই আবহে দিল্লির আপ বিধায়ককে তলব করল দিল্লি পুলিশ।