সুপ্রিম কোর্ট। —ফাইল চিত্র।
দেশের শীর্ষ বিচারালয়। অনেক গুরুত্বপূর্ণ মামলার শুনানি হয় সেখানে। অনেক গুরুত্বপূর্ণ মামলার গুরুত্বপূর্ণ রায়, এই বিচারালয়ের ইতিহাসে ‘মাইলফলক’ হয়ে আছে। এমন এক জায়গাকে দেশের মানুষ সাধারণত বাইরে থেকেই দেখেন। ভেতরে কী আছে, তা দেখার কৌতূহল রয়েছে অনেকের মনেই। এ কথা অনেকেই জানেন না, দেশের নাগরিকদের জন্যও সুপ্রিম কোর্টের দরজা উন্মুক্ত! কেউ যদি শীর্ষ আদালতকে ভেতর থেকে দেখতে চান, তবে নির্ধারিত দিনে তা সম্ভব।
প্রশ্ন হচ্ছে কী ভাবে ‘সুপ্রিম কোর্ট টুর’ করা যাবে? কখনই বা সেই ‘টুর’ সম্ভব? সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, মাসের দ্বিতীয় এবং চতুর্থ শনিবার ছাড়া বাকি দুই শনিবারে সাধারণ মানুষ সুপ্রিম কোর্টে প্রবেশ করতে পারেন। ঘুরে দেখতে পারেন দেশের শীর্ষ আদালতের ‘অন্দরমহল’। তবে জাতীয় ছুটি দিনে সেই সুবিধা পাওয়া যাবে না।
প্রতি শনিবার ঘণ্টা দেড়েকের জন্য সাধারণ মানুষ ‘সুপ্রিম কোর্ট টুর’ করতে পারেন। সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত নির্ধারিত সময়ে নিয়ম মেনে সুপ্রিম কোর্টের ভিতরে প্রবেশ করতে পারবেন সাধারণ মানুষ। আদালত প্রাঙ্গণ এবং ভবনের মধ্যে ঘুরে দেখা যাবে। সুপ্রিম কোর্টের ভেতর এমন জায়গায় যাওয়ার অনুমতি থাকে, যা অন্যান্য দিনে সাধারণ মানুষ যেতে পারেন না। প্রধান বিচারপতি কোথায় বসে মামলা শোনেন, তাঁর ঘর কোথায়— সবই দেখা যায়। শুধু প্রধান বিচারপতি নন, অন্য বিচারপতিদের জন্য সুপ্রিম কোর্টে নির্ধারিত ঘরও দেখতে পাবেন দর্শকেরা। এ ছাড়াও, সুপ্রিম কোর্টের জাতীয় বিচার বিভাগীয় জাদুঘরও ঘুরে দেখার সুযোগ থাকছে। সঙ্গে রয়েছে বিচারপতিদের লাইব্রেরিও। সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইট থেকে অনলাইন-ছাড়পত্র সংগ্রহ করতে হয়।
তবে সুপ্রিম কোর্টের এই ‘টুর’ নতুন নয়। গত ছয় বছর ধরে চলছে। দেশের প্রাক্তন বিচারপতি দীপক মিশ্রের আমলে এই ধারণা প্রথম আত্মপ্রকাশ পায়। এর সূচনা হয় প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গৈগের আমলে। ২০১৮ সালের ৩ নভেম্বর থেকে শুরু হয় ‘সুপ্রিম কোর্ট টুর’। এখনও পর্যন্ত ২৯৬টি ‘টুর’ পরিচালিত হয়েছে। অনেকে আবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের সঙ্গে দেখা করার সুযোগও পেয়েছেন।