মণীশ সিসৌদিয়া। —ফাইল চিত্র।
দিল্লির আবগারি মামলায় জামিন পেলেন না আপ নেতা তথা প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসৌদিয়া। সোমবার শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, এই মামলায় প্রায় ৩৩৮ কোটি টাকার আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি প্রায় প্রতিষ্ঠিত। তবে একই সঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, তদন্তকারী সংস্থা ছয় থেকে আট মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে না পারলে সিসৌদিয়া আবার জামিনের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
গত ফেব্রুয়ারি মাসে দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হন সিসৌদিয়া। তার পর থেকে জেলেই রয়েছেন তিনি। এর আগে এই মামলায় সিসৌদিয়া-সহ অন্যদের ৫২ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত (অ্যাটাচ) করে ইডি। সম্প্রতি জামিনের জন্য দু’টি আর্জি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন অরবিন্দ কেজরীওয়ালের প্রাক্তন ‘ডেপুটি’। গত ১৭ অক্টোবর বিচারপতি সঞ্জীব খন্না এবং এসএনভি ভাট্টির বেঞ্চ রায়দান স্থগিত রাখে।
এই মামলায় পরে যুক্ত হয় আর এক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইও। সোমবার ইডির উদ্দেশে শীর্ষ আদালত জানায়, তদন্তে সব প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যায়নি। এর আগে সিসৌদিয়া গ্রেফতার হওয়ার পর আপ দাবি করেছিল, দিল্লি প্রশাসনকে ‘স্তব্ধ’ করে দিতেই সিসৌদিয়াকে হেনস্থা করা হচ্ছে।
সিবিআইয়ের দাবি, ২০২১-২২ সালের আবগারি নীতিতে দিল্লি সরকার কয়েক জন মদ ব্যবসায়ীকে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে সুবিধা পাইয়ে দিয়েছিল। তার বদলে বিপুল অর্থের হাতবদল হয়েছিল। যদিও গোড়া থেকেই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে আপ। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই বিতর্কিত আবগারি নীতিটি অবশ্য বাতিলও করা হয়। কিন্তু সেই বাতিল নীতিতেই বহু টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ করেন দিল্লির লেফ্টেন্যান্ট গভর্নর ভিকে সাক্সেনা। তিনি সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন।
গ্রেফতার হন দিল্লির তৎকালীন উপমুখ্যমন্ত্রী সিসৌদিয়া। গ্রেফতারির পর তিনি ইস্তফা দেন। এই মামলাতেই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরীওয়ালকেও জেরা করেছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। আবগারি দুর্নীতি মামলায় সিসৌদিয়া ছাড়াও গ্রেফতার হয়েছেন আপের রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় সিংহ।