অন্ধ্রপ্রদেশে ট্রেন দুর্ঘটনা। ছবি: সংগৃহীত।
চালকের ভুলেই দুর্ঘটনা। অন্ধ্রপ্রদেশের দুই ট্রেনের সংঘর্ষে অন্তত ১৩ জনের মৃত্যুর পর এমনই জানালেন রেল কর্তৃপক্ষ। ইস্ট কোস্ট রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক (সিপি বিশ্বজিৎ সাহু ‘এনডি়টিভি’কে জানিয়েছেন, লাল সিগন্যাল থাকা সত্ত্বেও বিশাখাপত্তনম-রায়গাড়া প্যাসেঞ্জারের চালক ট্রেনটি এগিয়ে নিয়ে যান। তার ফলেই এই দুর্ঘটনা।
রবিবার অন্ধ্রপ্রদেশের বিজয়নগরম জেলার কণ্টকপল্লিতে বিশাখাপত্তনম থেকে পলাসাগামী একটি প্যাসেঞ্জার ট্রেনে পিছন থেকে ধাক্কা মারে বিশাখাপত্তনম-রায়গাড়া প্যাসেঞ্জার। রেল সূত্রে জানা যায়, রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলার জন্য পলাসাগামী ট্রেনটি দাঁড়িয়ে ছিল। দুর্ঘটনার পর রেল জানায়, সংঘর্ষের ফলে বিশাখাপত্তনম-পলাসা প্যাসেঞ্জার ট্রেনের তিনটি এবং বিশাখাপত্তনম-রায়গাড়া প্যাসেঞ্জারের দু’টি কামরা লাইনচ্যুত হয়।
রেল সূত্রে রবিবারই জানা গিয়েছিল, রেল কর্মীদের ‘ভুলে’ই দুর্ঘটনা। লোকো পাইলট সিগন্যাল দেখেননি। সোমবার ইস্ট কোস্ট রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক বলেন, “বিশাখাপত্তনম-রায়গাড়া প্যাসেঞ্জারের চালক এই দুর্ঘটনার জন্য দায়ী। লাল সিগন্যাল থাকা সত্ত্বেও তিনি তা খেয়াল না করে পলাসাগামী ট্রেনে ধাক্কা মারেন।” এই ঘটনায় রায়গাড়া প্যাসেঞ্জারের চালক মারা গিয়েছেন বলে জানিয়েছে রেল।
রবিবারই জানা গিয়েছিল এই ট্রেন দুর্ঘটনায় ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার সকালে সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানায়, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৩ হয়েছে। আহতের সংখ্যা ৪০। সোমবার সকালেও ঘটনাস্থলে উদ্ধারকাজ চলছে। উদ্ধারকাজ শেষ হলে হতাহতের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ট্রেন দুর্ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রী জগনমোহন রেড্ডি। তাঁর দফতর সমাজমাধ্যমে বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ‘‘বিজয়নগরম জেলার কণ্টকাপল্লিতে ট্রেন দুর্ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আধিকারিকদের দ্রুত পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। আহতদের দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে বলেছেন।’’ বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, ঘটনাস্থলে কাছের জেলা বিশাখাপত্তনম এবং আনাকাপল্লি থেকে যত বেশি সম্ভব অ্যাম্বুল্যান্স পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় হাসপাতালগুলিকেও প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সময়ে সময়ে তাঁকে ঘটনার বিষয়ে জানানোর কথা বলা হয়েছে।