ব্রিজভূষণ শরণ সিংহ। —ফাইল চিত্র।
কুস্তিগিরদের যৌন হেনস্থা করার জন্য কোনও সুযোগই ছাড়তেন না সর্বভারতীয় কুস্তি সংস্থার অপসারিত সভাপতি ব্রিজভূষণ শরণ সিংহ। শনিবার দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে এমনটাই জানাল দিল্লি পুলিশ। ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে আগেই চার্জশিট জমা দিয়েছে পুলিশ। সেখানে ছ’জন মহিলা কুস্তিগিরের অভিযোগ নথিবদ্ধ রয়েছে। সেই চার্জশিটের ভিত্তিতেই চার্জ গঠনের প্রক্রিয়া চলছে। এই সংক্রান্ত শুনানিতেই বিষয়টি উত্থাপন করেন অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি অতুল শ্রীবাস্তব।
দিল্লি পুলিশের তরফে আদালতে জানানো হয়, নিজের কাজ সম্পর্কে সম্যক অবহিত ছিলেন বিজেপি সাংসদ ব্রিজভূষণ। তাজিকিস্তানের একটি ঘটনার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে সরকারি কৌঁসুলি দাবি করেন যে, সেখানে এক মহিলা কুস্তিগিরকে জোরপূর্বক আলিঙ্গন করে ব্রিজভূষণ বলেন, “আমি তো তোমার বাবার মতোই।” তদন্তকারীদের বক্তব্য, এখান থেকেই প্রমাণিত যে, তিনি যে অন্যায় করছেন, সেটা জেনে সাফাই দেওয়ার চেষ্টা করে গিয়েছেন ব্রিজভূষণ।
ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলি পুরনো হলেও, তা পুলিশকে জানাতে কেন দেরি হল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। কিন্তু সেটার থেকেও বড় বিষয় যে অন্যায়টা স্বীকার করা, তা আদালতে স্পষ্ট করে দিয়েছে দিল্লি পুলিশ। প্রাক্তন কুস্তিকর্তা ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ তুলে আন্দোলনে নেমেছিলেন দেশের সেরা কুস্তিগিরদের একাংশ। আন্দোলনের প্রধান তিন মুখ ছিলেন সাক্ষী মালিক, বজরং পুনিয়া এবং বিনেশ ফোগট। এই মামলা চললেও বর্তমানে জামিনে মুক্ত রয়েছেন ব্রিজভূষণ। শাসকদলের প্রভাবশালী সাংসদ হওয়ার কারণেই ব্রিজভূষণ অন্যায় করে পদে থেকে গিয়েছেন বলে অভিযোগ বিরোধীদের।