প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
মিড ডে মিলের রান্না হচ্ছে। সেই রান্নার জন্য যে কাঠ ব্যবহার করা হয়েছে, সেগুলি নাকি পড়ুয়াদের বেঞ্চ। আর সেই বেঞ্চ পুড়িয়েই বিহারের একটি সরকারি স্কুলে রান্নার অভিযোগ উঠল। ওই স্কুলেই সম্প্রতি পড়ুয়াদের বসার এবং পড়াশোনার জন্য ডেস্ক এবং বেঞ্চ দান করেছিলেন আরজেডি বিধায়ক। রান্নার সেই ছবিও প্রকাশ্যে এসেছে। যদিও সেই ছবির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।
পড়ুয়াদের বেঞ্চ পুড়িয়ে রান্নার সেই ছবি ছড়িয়ে পড়তেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য শিক্ষা দফতরে। তড়িঘড়ি এই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পটনার বিহতা ব্লকের ঘটনা। স্কুলে জ্বালানি কাঠ না থাকায় পড়ুয়াদের বেঞ্চের কাঠই রান্নার কাজে ব্যবহার করার অভিযোগ উঠল স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।
পটনার জেলা শিক্ষা আধিকারিক অমিত কুমার সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। পড়ুয়াদের ব্যবহৃত বেঞ্চই কি পোড়ানো হচ্ছিল, তা খতিয়ে দেখা হবে। যদি এই ঘটনায় কেউ দোষী প্রমাণিত হন, তাঁর বা তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে। এই ঘটনার একটি ভিডিয়োও প্রকাশ্যে এসেছে। যদিও সেই ভিডিয়োরও সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।
ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, মিড ডে মিল রান্না করছেন এক মহিলা। বেঞ্চের কাঠগুলিকে ঠেলে ঠেলে মাটির উনুনের মধ্যে ঢোকাচ্ছেন। সেই উনুনে রান্না চলছে পড়ুয়াদের জন্য। এই ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়ে গিয়েছে। রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি) বিধায়ক ভাই বীরেন্দ্র জেলাশাসককে এবং জেলা শিক্ষা দফতরকে পদক্ষেপ করার আর্জি জানিয়েছেন। ঘটনাচক্রে, ওই স্কুলেই সম্প্রতি পড়ুয়াদের বসার এবং পড়াশোনার জন্য ডেস্ক এবং বেঞ্চ দান করেছিলেন আরজেডি বিধায়ক।