সন্তান খুনে অভিযুক্ত সূচনা শেঠ। ছবি: পিটিআই।
সন্তান খুনের ঘটনায় বেঙ্গালুরুর স্টার্টআপ সংস্থার সিইও সূচনা শেঠের কী কী ভূমিকা রয়েছে, সেই উত্তরের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। তার মধ্যেই সূচনা দাবি করেছেন, সন্তানকে তিনি খুন করেননি। ঘুম থেকে উঠে দেখেন সন্তান মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে।
এ তো গেল সূচনার দাবি। কিন্তু এই খুনের ঘটনায় তিনটি প্রশ্ন ভাবাচ্ছে পুলিশকে। আর সেই প্রশ্নের দ্রুত উত্তর পেতে চাইছেন তদন্তকারীরা। সন্তান খুনের পর তিন দিন কেটে গেলেও বেশ কিছু বিষয় এখনও ধোঁয়াশাই থেকে গিয়েছে। সূচনা থাকতেন বেঙ্গালরুতে। কিন্তু তিনি সন্তানকে খুন করলেন গোয়ায় গিয়ে। শুধু কি সন্তানকে খুনের জন্যই গোয়ায় গিয়েছিলেন, না কি এর নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ রয়েছে। তা ছাড়া, সন্তানকে খুনের পর ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তার দেহ নিয়ে বেঙ্গালুরুতে ফিরছিলেনই বা কেন? এই প্রশ্নের উত্তর পেতে চাইছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, পুত্রের উপর নিজের অধিকার নিয়ে অত্যন্ত জেদি ছিলেন সূচনা। স্বামী তাঁর সন্তানকে নিজের হেফাজতে নিতে পারে, এই উদ্বেগ কাজ করত। স্বামীর হাতে সন্তানকে যাতে তুলে দিতে না হয়, সে কারণেই সন্তানকে খুন করেছেন সূচনা। স্রেফ অধিকারবোধ আর স্বামীর হাতে সন্তানকে তুলে দিতে হতে পারে, এই ভয়ে সন্তানকে খুন করতেও দ্বিধাবোধ করলেন না সূচনা! তদন্তকারীদের একাংশ আবার এই বিষয়টি নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। কারণ, জেরায় সূচনা দাবি করেছেন, সন্তানকে তিনি অত্যন্ত ভালবাসতেন। ইনস্টাগ্রামে সন্তানের ছবিও পোস্ট করেছিলেন। কিন্তু তার পরেও এই চরম সিদ্ধান্ত নিতে হাত কাঁপল না তাঁর? পুলিশের এক সূত্রের দাবি, পুত্রকে খুন করার পরেও সূচনার মধ্যে কোনওরকম অনুতাপ বা অনুশোচনার কোনও লক্ষণ ধরা পড়েনি। এখানেও একটা ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।
তৃতীয়ত, গোয়ার ক্যান্ডোলিমে যে সার্ভিস অ্যাপার্টমেন্টে ছিলেন সূচনা, সেই ঘর থেকে যে রক্তের দাগ মিলেছে, সেই রক্ত কার? ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলছে, সন্তানকে বালিশ বা চাদর দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, বাঁ হাতের শিরা কেটে নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন সূচনা। কিন্তু সেই রক্ত কি সূচনারই, সে বিষয়টিও এখনও স্পষ্ট হয়নি।