দিল্লিতে সেই হামলার ‘ছবি’! ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া।
মেইতেই-কুকি সংঘাতের রেশ এ বার মণিপুরের গণ্ডি ছাড়িয়ে রাজধানী দিল্লিতে। শনিবার সকালে দক্ষিণ-পূর্ব দিল্লির সানলাইট কলোনি এলাকার একটি রাস্তায় দুষ্কৃতীরা প্রকাশ্যে নিগ্রহ করল মেইতেই জনগোষ্ঠীর এক মহিলাকে। হামলাকারীরা কুকি জনজাতির বলে অভিযোগ।
দিল্লি পুলিশের দাবি, দুষ্কৃতীরা ওই মহিলার পরিচিত। গোষ্ঠীবিদ্বেষের কারণেই এমন হামলা চালানো হয়েছে। এ সংক্রান্ত অভিযোগ জমা পড়েছে পুলিশের কাছে। অভিযুক্তদের সন্ধানও শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই এ সংক্রান্ত একটি ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে (আনন্দবাজার অনলাইন সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি)।
গত সাত মাসে মণিপুরে হিংসা পর্বে যুযুধান দুই গোষ্ঠীর মহিলারাই খুন, ধর্ষণ, নিগ্রহের শিকার হয়েছেন। উত্তর-পূর্বে অন্য কয়েকটি রাজ্য থেকেও কুকি-মেইতেই সংঘাতের খবর এসেছে। কিন্তু এই প্রথম দেশের রাজধানী শহর মণিপুরের গোষ্ঠীবিদ্বেষের নমুনা দেখতে পেল। ঘটনার জেরে সানলাইট কলোনি এবং আশপাশের এলাকায় নজরদারি এবং পুলিশি টহলদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ৩ মে জনজাতি ছাত্র সংগঠন ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ মণিপুর’ (এটিএসইউএম)-এর কর্মসূচি ঘিরে মণিপুরে অশান্তির সূত্রপাত। মণিপুর হাই কোর্ট মেইতেইদের তফসিলি জনজাতির মর্যাদা দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে রাজ্য সরকারকে বিবেচনা করার নির্দেশ দিয়েছিল।
এর পরেই জনজাতি সংগঠনগুলি তার বিরোধিতায় পথে নামে। আর সেই ঘটনা থেকেই সংঘাতের সূচনা হয় সেখানে। মণিপুরের আদি বাসিন্দা হিন্দু ধর্মাবলম্বী মেইতেই জনগোষ্ঠীর সঙ্গে কুকি, জ়ো-সহ কয়েকটি তফসিলি জনজাতি সম্প্রদায়ের (যাদের অধিকাংশই খ্রিস্টান) সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত প্রায় দু’শো জনের মৃত্যু হয়েছে। ঘরছাড়ার সংখ্যা প্রায় ৬০ হাজার।