ধর্মোঞ্জৎ সিংহ কাহলন (বাঁ দিকে) এবং প্রয়াত গায়ক সিধু মুসেওয়ালা (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
পঞ্জাবি শিল্পী সিধু মুসেওয়ালা খুনের পর এক বছর কেটে গিয়েছে। তার আগে সমাজমাধ্যমের পাতায় তাঁকে খুন করার পরিকল্পনা জনসমক্ষে জানিয়েছিলেন গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই। সিধুকে খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত লরেন্সের সহযোগী গোল্ডি ব্রার। সম্প্রতি এই খুনের ঘটনার তদন্তে নয়া মোড় এসেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, লরেন্স এবং গোল্ডিকে অস্ত্রপাচার করার অভিযোগে আমেরিকার ক্যালিফর্নিয়া থেকে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। তাঁর নাম ধর্মোঞ্জৎ সিংহ কাহলন। পঞ্জাবের অমৃতসরের বাসিন্দা এই অস্ত্র পাচারকারী। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, সিধু মুসেওয়ালা খুনে অভিযুক্ত লরেন্স এবং গোল্ডিকে একে ৪৭ রাইফেল-সহ বিভিন্ন আগ্নেয়াস্ত্র পাচার করতেন ধর্মোঞ্জৎ।
লরেন্সের নিকটাত্মীয় সচিন বিষ্ণোই জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালীন কাউন্টার ইনটেলিজেন্স ইউনিটকে জানান, গ্যাংস্টার জগ্গু ভগবনপুরিয়াকে আগে থেকে চিনতেন সচিন। জগ্গুর মাধ্যমে লরেন্স এবং গোল্ডির সঙ্গে আলাপ হয় ধর্মোঞ্জতের। সচিনের দাবি, লরেন্স এবং গোল্ডিকে আগ্নেয়াস্ত্র পাচার করতেন ধর্মোঞ্জৎ। পুলিশ সূত্রে খবর, ধর্মোঞ্জতের নামে আগে থেকেই লুক আউট নোটিস জারি করা হয়েছে। এর আগেও নানা রকম অপরাধের সঙ্গে নাম জড়িয়ে রয়েছে তাঁর। ভারত ছেড়ে ধর্মোঞ্জৎ পালিয়ে যান বলে জানায় পুলিশ। সম্প্রতি আমেরিকার ক্যালিফর্নিয়া থেকে তাঁকে আটক করা হয়েছে। তাঁকে ভারতে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
অন্য দিকে, র্যাপ তারকা হানি সিংহের অভিযোগ, তাঁকে নাকি ফোন করে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছেন গোল্ডি। হানির কথা অনুযায়ী, তিনি এবং তাঁর কর্মীরা নাকি আন্তর্জাতিক নম্বর থেকে ফোন পেয়েছেন, যেখানে অন্য প্রান্তের ব্যক্তি নিজেকে গোল্ডি ব্রার বলে পরিচয় দিয়েছেন। গত বছরের শেষের দিকে খবর মেলে, আমেরিকায় নাকি আটক করা হয়েছে অভিযুক্ত গোল্ডি ব্রারকে।
গত বছর ২৯ মে পঞ্জাবের মানসা জেলায় কংগ্রেস নেতা তথা গায়ক সিধুকে গাড়ির ভিতর গুলি করে খুন করে কয়েক জন দুষ্কৃতী। গুলি চালানোর সময় সিধুর সঙ্গে গাড়িতে ছিলেন তাঁর এক তুতো ভাই ও বন্ধু। দু’জনেই গুরুতর আহত হন। সিধুর দেহের ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বলা হয়, শরীরে ১৯টি বুলেট লেগেছিল তাঁর। গুলি লাগার ১৫ মিনিটের মধ্যে মৃত্যু হয় পঞ্জাবি এই গায়কের।