অভিনেতা সলমন খানকে হুমকিতে লরেন্স বিশ্নোই যোগ? — ফাইল চিত্র।
গ্যাংস্টার লরেন্স বিশ্নোইয়ের নাম করে খুনের হুমকি দিয়েছিলেন বলিউড অভিনেতা সলমন খানকে। ৫ কোটি টাকাও দাবি করেছিলেন। অবশেষে পুলিশের জালে ধরা পড়লেন ঝাড়খণ্ডের সেই যুবক।
গত কয়েক মাসে একের পর এক হুমকি এসেছে সলমনের কাছে। অভিযোগ, তাঁর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা থাকার কারণেই নাকি সম্প্রতি খুন হতে হয়েছে প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা তথা মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রী বাবা সিদ্দিকিকে। তার পর থেকেই আরও জোরদার করা হয়েছে সলমনের নিরাপত্তা। তা সত্ত্বেও গত ১৮ অক্টোবর মুম্বই ট্র্যাফিক পুলিশের হোয়াট্সঅ্যাপ নম্বরে লরেন্স বিশ্নোইয়ের নাম করে একটি হুমকিবার্তা আসে। বলা হয়, সলমন খানকে অবিলম্বে ৫ কোটি টাকা দিতে হবে। নইলে বাবা সিদ্দিকির থেকেও করুণ পরিণতি হবে তাঁর। এর পরেই নড়েচড়ে বসে মুম্বই পুলিশ। ওই উড়ো মেসেজের ভিত্তিতে শুরু হয় তদন্ত। তদন্তে নেমে জামশেদপুর থেকে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযোগ, বিশ্নোইয়ের নাম করে তিনিই সলমনকে হুমকি দিয়েছিলেন!
ঘনিষ্ঠ বন্ধু বাবা সিদ্দিকির মৃত্যুর পর থেকেই চাপ বেড়েছে সলমনের। অভিযোগ, অতীতে বিশ্নোই সম্প্রদায়ের আবেগে আঘাত করেছেন সলমন ও তাঁর পরিবার। কারণ, কৃষ্ণসার হরিণের পুজো করে বিশ্নোই সম্প্রদায়। আর সেই হরিণ হত্যার অভিযোগ রয়েছে সলমনের বিরুদ্ধে। ১৯৯৮ সালে জোধপুরে ‘হম সাথ সাথ হ্যায়’ ছবির শুটিংয়ে গিয়ে সলমন কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা করেছিলেন বলে অভিযোগ। ২০১৮ সালে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে রাজস্থান হাই কোর্ট। পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হয় তাঁর। এই রায়ের বিরুদ্ধে সলমন সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলে সেখানে তাঁকে জামিন দেওয়া হয়। অন্য দিকে, ২০১৫ সাল থেকে জেলে রয়েছেন ‘গ্যাংস্টার’ লরেন্স বিশ্নোই। ২০১৮ সালে জেলে বসেই তিনি ঘোষণা করেছিলেন, সুযোগ পেলেই সলমনকে খুন করবেন তিনি। অভিযোগ, বাবা সিদ্দিকি হত্যার পর গত কয়েক সপ্তাহ ধরে সলমনকে প্রাণে মারার হুমকি দেওয়া হচ্ছে এবং তা করছেন লরেন্স বিশ্নোই গোষ্ঠীর সদস্যেরাই। তার পরেই সলমনের নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা হয়েছে। অন্য দিকে, মহারাষ্ট্রের এনসিপি নেতা সিদ্দিকির খুনের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১১ জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে এখনও অভিযুক্ত মূল শুটার ফেরার। তাঁর সঙ্গে আরও দুই অভিযুক্তের খোঁজ চলছে।