Cyclone Dana Landfall

বৃহস্পতির সকালেই তৈরি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়, কখন, কোথায় আছড়ে পড়বে ‘দানা’? জানাল মৌসম ভবন

এই মুহূর্তে ওড়িশার পারাদ্বীপ থেকে ৫২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে, পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপ থেকে ৬০০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং বাংলাদেশের খেপুপাড়া থেকে ৬১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে রয়েছে ‘দানা’।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ অক্টোবর ২০২৪ ১২:২৬
Share:

ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র সম্ভাব্য গতিপথ। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।

বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়েছিল মঙ্গলবারই। বুধবার তা থেকে জন্ম নিয়েছে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’। এ বার হাওয়া অফিস জানিয়ে দিল, ২৪ তারিখ ভোরেই তা উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। তার পর পুরী এবং সাগরদ্বীপের মাঝামাঝি ওড়িশার ভিতরকণিকা এবং ধামারা দিয়ে স্থলভাগে ঢুকবে।

Advertisement

মৌসম ভবন জানিয়েছে, গত ছ’ঘণ্টায় ‘দানা’ ঘণ্টায় ১৫ কিলোমিটার বেগে উত্তর-পশ্চিম অভিমুখে এগিয়েছে। এই মুহূর্তে ওড়িশার পারাদ্বীপ উপকূল থেকে প্রায় ৫২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে, পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপ থেকে ৬০০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং বাংলাদেশের খেপুপাড়া থেকে ৬১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে রয়েছে ‘দানা’। ২৪ অক্টোবর রাত থেকে ২৫ অক্টোবরের সকালের মধ্যে শক্তি বাড়িয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের আকার নেবে সে। উপকূলে আছড়ে পড়ার সময় ঝড়ের গতিবেগ পৌঁছবে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১২০ কিলোমিটারে।

মৌসম ভবন জানাচ্ছে, ওড়িশার জগৎসিংহপুর, কেন্দ্রাপাড়া, ভদ্রক এবং বালেশ্বরে হাওয়ার সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার ছাড়িয়ে যেতে পারে। অপেক্ষাকৃত কম প্রভাব পড়বে ময়ূরভঞ্জ, পুরী, ভুবনেশ্বর, কটক, সম্বলপুরে। তবে ‘দানা’ বাঁধার আগে থেকেই এর প্রভাবে শুরু হয়ে যাবে বৃষ্টি। বুধবার সন্ধ্যা থেকেই ভিজতে পারে উপকূলীয় ওড়িশার বালেশ্বর, ভদ্রক, কেন্দ্রাপাড়া, পুরী এবং জজপুর। বৃহস্পতিবার কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। জগৎসিংহপুর, কেন্দ্রাপাড়া, ময়ূরভঞ্জ, কটক, ভদ্রক এবং বালেশ্বরে জারি হয়েছে অতিভারী বৃষ্টির লাল সতর্কতা। পরিস্থিতি সামাল দিতে এই ছয় জেলায় ছয় অভিজ্ঞ আইএএস অফিসারকে মোতায়েন করা হয়েছে। বিভিন্ন জেলায় মোতায়েন হয়েছে ২৮৮টি উদ্ধারকারী দল। ১৪ জেলায় আগামী তিন দিনের জন্য স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজ্যে বাতিল হয়েছে ২০০-রও বেশি ট্রেন। রাজ্যের ৮০০টি দুর্যোগ আশ্রয়শিবিরের পাশাপাশি ৫০০টি অতিরিক্ত শিবির তৈরি করা হয়েছে। উপকূলীয় এলাকা থেকে মানুষকে সেখানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

Advertisement

সম্ভাব্য দুর্যোগের আশঙ্কায় পশ্চিমবঙ্গেও শুরু হয়ে গিয়েছে আগাম প্রস্তুতি। পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় সতর্কতা নিয়েছে প্রশাসন। সোমবার থেকেই প্রশাসনের তরফে মাইকিং শুরু হয়ে গিয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার নামখানা, সাগরদ্বীপ, পাথরপ্রতিমা, বকখালি-সহ বিভিন্ন উপকূলবর্তী অঞ্চলে। তৈরি রয়েছে কন্ট্রোল রুমও।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement