নিহত নেতা বাবা সিদ্দিকি। — ফাইল চিত্র।
মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা এনসিপি নেতা (অজিত পওয়ার গোষ্ঠী) বাবা সিদ্দিকিকে খুনের ঘটনায় ইতিমধ্যেই ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে মুম্বই পুলিশ। বুধবার হরিয়ানা থেকে গ্রেফতার হয়েছেন একাদশ অভিযুক্ত। জেরায় অভিযুক্তেরা কুখ্যাত গ্যাংস্টার লরেন্স বিশ্নোইয়ের দলের সঙ্গে বাবা সিদ্দিকি-খুনের যোগসূত্রও স্বীকার করে নিয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ বার জানা গেল, খুনের ঠিক আগেও না কি লরেন্স বিশ্নোইয়ের ভাইয়ের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছিল সিদ্দিকির খুনিদের!
সিদ্দিকি খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত দুই শুটার— গুরমেল সিংহ এবং ধর্মরাজ কাশ্যপকে পুলিশ আগেই গ্রেফতার করেছিল। তাঁদের জেরা করে জানা যায়, খুনের আগে লরেন্সের ভাই আনমোল বিশ্নোইয়ের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছিল তাঁদের। এমনকি, আনমোলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে একাধিক স্ন্যাপচ্যাট অ্যাকাউন্টও ব্যবহার করতেন তাঁরা। অভিযুক্তদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে চারটি মোবাইল ফোন। সেই মোবাইলগুলি দিয়েই সুদূর কানাডায় লরেন্সের ভাইয়ের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন অভিযুক্তেরা। যাতে যোগাযোগের কোনও প্রমাণ না থাকে, সে জন্য স্ন্যাপচ্যাটে বার্তা পাওয়ার পরেই তা মুছে ফেলা হত। জেরায় একাধিক নামও উঠে আসে। প্রকাশ্যে আসে সিদ্দিকি খুনের পরিকল্পনার ছক। তবে কেন তাঁকে খুন করা হল, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
উল্লেখ্য, গত ১২ অক্টোবর বান্দ্রায় খুন হন এনসিপি নেতা তথা প্রাক্তন মন্ত্রী সিদ্দিকি। নির্মলনগরে নিজের দফতরের সামনেই প্রকাশ্য রাস্তায় তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন তিনি। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে লীলাবতী হাসপাতালে নিয়ে গেলেও শেষরক্ষা হয়নি। সিদ্দিকির হত্যাকাণ্ডে এখনও পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে মুম্বই পুলিশ।