দিল্লিতে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের সামনে আপ নেতাদের আটকেছে পুলিশ। ছবি: পিটিআই।
দিল্লিতে ক্রমে জোরালো হচ্ছে ‘শিসমহল’ বিতর্ক। মুখ্যমন্ত্রীর আবাসনের ‘স্বরূপ’ বোঝাতে বুধবার সেখানে মিছিল করে গিয়েছিলেন শাসকদল আম আদমি পার্টির নেতারা। তাঁদের বাধা দেয় পুলিশ। মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে ঢুকতে না পেরে পুলিশের সঙ্গে আপ নেতাদের ধস্তাধস্তি হয়। বাসভবনের দরজার সামনে কিছু ক্ষণের জন্য ধর্নায় বসেন সৌরভ ভরদ্বাজ, সঞ্জয় সিংহেরা। পরে সেখান থেকে তাঁরা মিছিল নিয়ে এগোতে শুরু করেন লোক কল্যাণ মার্গে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের দিকে। যদিও সেখানে পৌঁছনোর আগে আপকে আবার আটকে দেয় পুলিশ। অন্য দিকে, দিল্লির বিজেপি নেতারা পাল্টা মুখ্যমন্ত্রী আতিশী মার্লেনার বাড়ির দিকে মিছিল করে যান এবং সেখানে বিক্ষোভ দেখান।
দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। আর এক মাসও বাকি নেই। এর মাঝে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন নিয়ে বিতর্ক উত্তেজনার পারদ চড়াচ্ছে। বিজেপির অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকাকালীন কোটি কোটি টাকা খরচ করে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনটি সংস্কার করিয়েছেন অরবিন্দ কেজরীওয়াল। তাকে ‘শিসমহল’ বলে কটাক্ষ করেছেন স্বয়ং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। অভিযোগ, ওই বাসভবন নির্মাণে ৪০ কোটি টাকা খরচ করেছেন কেজরী। আপ প্রথম থেকেই এই অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছে। সম্প্রতি আপ নেতা সঞ্জয় বিজেপির দিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিলেন। বিজেপি নেতাদের সংবাদমাধ্যমকে সঙ্গে নিয়ে তিনি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে আহ্বান জানিয়েছিলেন।
পরে আপের তরফে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন অভিযান কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। সঞ্জয়, সৌরভেরা দলের নেতা-কর্মীদের নিয়ে বুধবার মিছিল করে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের দিকে যান। কিন্তু কাছাকাছি পৌঁছলে তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ। সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় পূর্ত দফতর থেকে দিল্লি পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আপ কিংবা অন্য কোনও রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের সেখানে ঢুকতে দেওয়া যাবে না। পুলিশি বাধার মুখে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের সামনেই বসে পড়েন আপ নেতারা। পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে তাঁদের কথা কাটাকাটি হয়। পরে মিছিল নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের দিকে রওনা দেন তাঁরা। সেখানেও পুলিশ তাঁদের আটকায়।
আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে এক দফায় বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ৮ ফেব্রুয়ারি তার ফল ঘোষণার দিন। আবগারি দুর্নীতি মামলায় আপ প্রধান কেজরীকে গ্রেফতার করেছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা। কয়েক মাস জেল খাটার পর তিনি অন্তর্বর্তী জামিন পেয়েছেন। জেলমুক্তির পর মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ান কেজরী। বর্তমানে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর পদে রয়েছেন আতিশী মার্লেনা।