কন্যার যৌন হেনস্থাকারীকে শাস্তি দিলেন বাবা নিজেই। —প্রতীকী চিত্র।
১২ বছরের কিশোরীর যৌন হেনস্থা করেছিলেন ৫৯ বছরের প্রৌঢ়। পুলিশকে জানিয়েও লাভ হয়নি। অভিযোগ, প্রৌঢ়কে কেবল মৌখিক ভাবে সতর্ক করেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। কন্যার হেনস্থাকারীকে শাস্তি দিতে তাই সাড়ে তিন হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিলেন বাবা। প্রৌঢ়কে খুন করলেন সুদূর কুয়েত থেকে অন্ধ্রপ্রদেশে এসে। খুনের পর আবার তিনি কুয়েতে ফিরে গিয়েছেন। সেখান থেকে ভিডিয়ো পোস্ট করে আত্মসমর্পণের ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন।
অন্ধ্রপ্রদেশের আন্নামালাই জেলায় সম্প্রতি প্রৌঢ়ের দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছিল। ওই প্রৌঢ়ের আত্মীয় অঞ্জনেয় প্রসাদ কর্মসূত্রে স্ত্রীর সঙ্গে কুয়েতে থাকেন। তাঁদের ১২ বছরের কন্যা অন্ধ্রে আত্মীয়ের বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করছিল। সেখানেই তাকে যৌন হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ। কন্যার কাছ থেকে সে কথা প্রথমে জানতে পারেন তাঁর মা। তাঁরা পুলিশে লিখিত অভিযোগ দায়েরও করেছিলেন। কিন্তু প্রৌঢ়ের কোনও শাস্তি হয়নি বলে অভিযোগ।
কুয়েত থেকে পোস্ট করা ভিডিয়োয় কিশোরীর বাবা জানিয়েছেন, তাঁর শ্যালিকার বাড়িতে থাকে তাঁর কন্যা। শ্যালিকার শ্বশুর ওই কিশোরীর যৌন হেনস্থা করেন। পুলিশ কেবল তাঁকে সতর্ক করে ছেড়ে দেয়, যা বাবা হিসাবে তিনি মানতে পারেননি। তাই প্রতিশোধ নিতে চেয়েছিলেন। কন্যার হেনস্থাকারীকে উচিত শিক্ষা দিতে চেয়েছিলেন। কুয়েত থেকে গত ৭ ডিসেম্বর কিশোরীর বাবা দেশে ফেরেন। তার পরেই প্রৌঢ়ের দেহ উদ্ধার হয়। পরে কুয়েতে আবার ফিরে যান তিনি।
ভিডিয়োর মাধ্যমে খুনের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন যুবক। খুনের কারণও ব্যাখ্যা করেছেন। জানিয়েছেন, কন্যার হেনস্থাকারীকে শাস্তি দেওয়া হয়ে গিয়েছে। এ বার তিনি আত্মসমর্পণ করতে চান। তাঁর ভিডিয়োটি হাতে পাওয়ার পর পুলিশ নতুন করে তদন্ত শুরু করেছে।