দক্ষিণবঙ্গের পাঁচটি জেলায় রবিবার পর্যন্ত শৈত্যপ্রবাহের পরিস্থিতি থাকবে। —ফাইল চিত্র।
ডিসেম্বরের শুরুর দিকে নিম্নচাপ বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। অবশেষে বছরের শেষ মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে ‘ঝোড়ো ব্যাটিং’ শুরু করেছে শীত। তাপমাত্রা স্বাভাবিকের নীচে নেমে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। এ বার দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে শৈত্যপ্রবাহের পূর্বাভাসও দিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে শুকনো বাতাস ঢুকছে দক্ষিণবঙ্গে। এর প্রভাবেই বিভিন্ন জেলায় রাতের তাপমাত্রা থাকবে স্বাভাবিকের চেয়ে নীচে। শুক্রবার থেকে রবিবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের পাঁচটি জেলায় শৈত্যপ্রবাহের পরিস্থিতি থাকবে। তালিকায় রয়েছে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান এবং বীরভূম।
উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই রাতের তাপমাত্রা কমবে। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়েও দুই থেকে চার ডিগ্রি কম থাকবে রবিবার পর্যন্ত।
আবহবিদেরা এই সময়ে শিশু এবং বয়স্কদের সাবধানে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন। যাঁদের ঠান্ডা লাগার ধাত রয়েছে, বাড়তি সতর্ক থাকতে হবে তাঁদেরও। তবে মোটের উপর এই ক’দিনে শীত সহনীয়ই থাকবে। মোটা বহুস্তরীয় পোশাক পরা এবং ঠান্ডায় বাড়ির বাইরে বেশি না-বেরোনোর পরামর্শও দিয়েছে হাওয়া অফিস।
উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে কুয়াশার সতর্কতা জারি করেছে আলিপুর। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার এবং উত্তর দিনাজপুরে ঘন কুয়াশা থাকবে। দৃশ্যমানতা নেমে যেতে পারে ১৯৯ থেকে ৫০ মিটারের মধ্যে। সকালের দিকে কুয়াশার কারণে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে। আপাতত উত্তর বা দক্ষিণ, কোথাও বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। উত্তুরে হাওয়ার দাপটে সর্বত্র থাকবে শুকনো আবহাওয়া।
বৃহস্পতিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের চেয়ে ২.৩ ডিগ্রি কম। বুধবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৩.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের চেয়ে ৪.৬ ডিগ্রি কম। পুরুলিয়ার তাপমাত্রা বৃহস্পতিবার নেমে গিয়েছিল ৮.১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এ ছাড়া, শ্রীনিকেতনে ৯.২, সিউড়ি, ঝাড়গ্রাম ও বর্ধমানে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।