ধৃত তরুণ পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন যে, তিনি স্ত্রীকে খুন করেছেন। ছবি: প্রতীকী
সহবাসে সম্মতি দেননি স্ত্রী। অভিযোগ, সে কারণে শ্বাসরোধ করে স্ত্রীকে খুন করেন স্বামী। ২০ মে হায়দরাবাদে ওই তরুণীর মৃত্যু হয়। মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধন্দে ছিল পুলিশ। ১০ দিন পর ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রকাশিত হতে বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে পুলিশের কাছে। তার পরেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ধৃত তরুণ পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন যে, তিনি স্ত্রীকে খুন করেছেন। তাঁর স্ত্রীর ঝাঁসি (২০) সহবাসে সম্মতি দেননি বলে এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন।
২০২১ সালে ঝাঁসির সঙ্গে বিয়ে হয় তরুণের। ভালবেসে বিয়ে করেছিলেন তাঁরা। আদতে তেলঙ্গানার নাগরকুর্নুল জেলার বাসিন্দা ছিলেন তাঁরা। বিয়ের পর হায়দরাবাদ চলে আসেন। সেখানে অটো চালাতেন তরুণ। তাঁদের ২ বছরের একটি ছেলে রয়েছে। গত ১৬ এপ্রিল একটি মেয়ের জন্ম দেন ঝাঁসি।
তরুণ পুলিশকে জানিয়েছেন, ২০ মে রাতে স্ত্রীর কাছে সহবাসের ইচ্ছাপ্রকাশ করেন। স্ত্রী রাজি হননি। জানিয়েছিলেন, তিনি ক্লান্ত। তরুণ জোর করতে থাকেন। তাঁর স্ত্রী চিৎকার করে উঠলে হাত দিয়ে জোরে মুখ চেপে ধরেন। পুলিশ মনে করছে, এর ফলেই প্রাণ হারান ঝাঁসি। তিনি নড়াচড়া বন্ধ করে দিলে ভয় পেয়ে যান তরুণ। আত্মীয়দের খবর দেন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে ওয়েইসি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ থানায় খবর দেন। পুলিশ এসে ঝাঁসির দেহ ওসমানিয়া জেনারেল হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য পাঠায়। যদিও তরুণ এই বিষয়ে পুলিশের কাছে মুখ খোলেননি। ঝাঁসির বাবা সইদাবাদ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। ৩০ মে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। তাতে দেখা গিয়েছে, শ্বাসরোধের কারণেই মৃত্যু হয়েছে ঝাঁসির। এর পরেই তরুণকে গ্রেফতার করা হয়। এখন বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন তিনি।