ভাল বলে শুধু খেলেই হল না। ড্রাই ফ্রুট্স খাওয়ার নিয়ম আছে। ছবি:ফ্রিপিক।
আখরোট, কাঠবাদাম, কাজু, কিশমিশ মুঠো মুঠো খাচ্ছেন? খুদেকেও দিচ্ছেন। কিন্তু এতে আদৌ লাভ হচ্ছে তো? পুষ্টিবিদ, চিকিৎসকেরা প্রতি দিনের খাদ্যতালিকায় ড্রাই ফ্রুট্স রাখতে বলেন। কারণ, এতে থাকে ভিটামিন, খনিজ, প্রোটিন, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট। যা শরীরের জন্য অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু ভাল বলেই তা কি বেশি খাওয়া চলে?
পরিমাপ
মাপ বুঝে খাওয়া দরকার। ড্রাই ফ্রুট্স খেতে ভাল বলে, সামনে রাখা থাকলে অনেকটাই খাওয়া হয়ে যায়। কিন্তু এতে যেমন হজমের সমস্যা হতে পারে তেমনই বাড়তে পারে ওজন। যাঁরা ডায়েটে রয়েছেন তাঁদেরও রকমারি বাদাম খেতে বলা হয়। কিন্তু তার মাপ আছে। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ দিনে ২৮ গ্রাম ড্রাই ফ্রুট্স খেতে পারেন। তার চেয়ে বেশি খেলে ওজন বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে।
বাছাই দরকার
ডায়াবিটিস থাকলে যে কোনও ড্রাই ফ্রুট্স মুঠো মুঠো খাওয়া চলে না। যেমন কেউ ভাল লাগছে বলে কিশমিশ খেয়ে গেলেন, তাতে লাভ হবে না। এতে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি থাকলে কাঠবাদাম, আখরোট, শুকনো ডুমুর বা ফিগ, এগুলি তালিকায় শীর্ষে রাখা যেতে পারে।
জল
রকমারি বাদাম খাচ্ছেন কিন্তু পরিমাণ মতো জল খাচ্ছেন কি? ড্রাই ফ্রুট্স ভিজিয়ে খেলে একরকম, কিন্তু যদি তা ভিজিয়ে না খাওয়া হয়, তা হলে বাদাম খাওয়ার কিছু ক্ষণের মধ্যে অনেকটা জল খাওয়া দরকার। ড্রাই ফ্রুট্স খেলে অনেক সময় পেট ভার হতে পারে, হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এগুলি খেয়ে পর্যাপ্ত জল খাওয়া জরুরি। না হলে ড্রাই ফ্রুট্স ভিজিয়ে খেতে পারেন। যেমন কাঠবাদাম ভিজিয়ে রাখলে নরম হয়ে যায়। হজমে সুবিধা হয়।
অন্যান্য খাবারে গুরুত্ব
শরীর ভাল রাখতে নিয়মিত বাদাম, ফল খেলেও অন্যান্য খাবারে জোর দিতে হবে। কারণ, ড্রাই ফ্রুট্স খেয়ে ভিটামিন, খনিজের ঘাটতির কিছুটা দূর হতে পারে। পুরোটা নয়। খাবারের তালিকায় প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার থাকাও জরুরি। সমস্ত খাবারেরই নিজস্ব পুষ্টিগুণ রয়েছে।
প্রক্রিয়াজাত রাসায়নিক
অনেক সময় ড্রাই ফ্রুট্স দীর্ঘ দিন ভাল রাখতে প্রক্রিয়াজাত রাসায়নিক ব্যবহার হয়। এই ধরনের রাসায়নিক শরীরের পক্ষে খুব ক্ষতিকর। বাদামের গুণ যতই থাক রাসায়নিক শরীরে গেলে নানা রকম ক্ষতি হতে পারে।