রাজ্যে আরও বাড়বে তাপমাত্রা। —ফাইল চিত্র।
ক্যালেন্ডারে জুন মাস এলেও বর্ষা এখনও আসেনি। বৃষ্টিও অধরা। বদলে ভ্যাপসা গরমে হিমশিম খাচ্ছে কলকাতা-সহ রাজ্য। চড়া রোদে তেতেপুড়ে রয়েছে বাংলা। গত ক’দিন ধরেই রাজ্যে আবার ফিরেছে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই গরমে টেকা দায়। এই আবহে এখনই আশার বাণী শোনাতে পারল না আলিপুর আবহাওয়া দফতর। আগামী কয়েক দিন ধরে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে ৩ থেকে ৫ ডিগ্রি বেশি থাকবে।
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার পশ্চিম বর্ধমান, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, মালদা, দুই দিনাজপুরে তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বাকি জেলাগুলিতে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি বজায় থাকবে। শুক্রবার পশ্চিম বর্ধমান, দুই ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূম, মালদা, দুই দিনাজপুরে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। শনিবার থেকে সোমবার দুই বর্ধমান, উত্তর ২৪ পরগনা, পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূম, ঝাড়গ্রাম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, মালদহ, দুই দিনাজপুরে তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। মঙ্গল এবং বুধবার দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলায় তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। উত্তরের মালদহ এবং দুই দিনাজপুরে তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
কলকাতাতে তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করা হয়নি। তবে অস্বস্তিকর গরম বজায় থাকবে। শুক্রবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। গত এপ্রিল মাসেও কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলার পারদ ৪০ ডিগ্রি পার করেছিল। তার পর আবার সেই অসহনীয় পরিস্থিতির প্রত্যাবর্তন ঘটল।
হাওয়া অফিস অবশ্য জানিয়েছে, রবিবার রাজ্যের কোনও কোনও জেলায় বৃষ্টি হতে পারে। কলকাতা, হাওড়া, দুই ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, হুগলি, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুরে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বুধবার সন্ধ্যার পর দক্ষিণের কয়েকটি জেলায় বৃষ্টি হয়েছিল। তবে তাতে স্বস্তি মেলেনি। দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরের জেলাগুলিতেও গরমের দাপট চলবে। তবে শনি এবং রবিবার দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ারে বৃষ্টি হতে পারে।
১ জুন দেশে বর্ষা আসার স্বাভাবিক সময়। দেশের মধ্যে কেরলে প্রথম বর্ষার প্রবেশ ঘটে। তবে এ বার ‘লেট লতিফ’ বর্ষা। মৌসম ভবনের পূর্বাভাস, আগামী ৪ তারিখ কেরলে বর্ষা ঢুকতে পারে। এই রাজ্যে বর্ষা আসার স্বাভাবিক সময় ১০ জুন। দহনজ্বালায় জ্বলছে রাজ্য, এই আবহে বর্ষার অপেক্ষায় সকলে।