Chit Fund Scam

রাজ্যে চিটফান্ড খুলে চার হাজার কোটির প্রতারণা, ধৃত মালিককে ২৫০ বছরের সাজা দিল আদালত!

বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে চিটফান্ড সংস্থার কর্মীরা জানাতেন, তাঁদের কাছে টাকা রাখলে ৫ বছরের বছরের মধ্যে দ্বিগুণ আমানত পাওয়া যাবে। এতে আকৃষ্ট হয়ে বহু মানুষ সংস্থায় টাকা রেখেছিলেন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ভোপাল শেষ আপডেট: ২৬ মার্চ ২০২৩ ১৬:০৮
Share:

চিটফান্ড খুলে চার হাজার কোটি প্রতারণা, ধৃত মালিককে ২৫০ বছরের সাজা। প্রতীকী ছবি।

চিটফান্ড খুলে ৪ হাজার কোটি টাকার প্রতারণা করার অভিযোগ উঠেছিল মধ্যপ্রদেশের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ওই ব্যক্তিকে ২৫০ বছরের সাজা দেওয়ার কথা শোনাল সে রাজ্যের একটি নিম্ন আদালত। ওই ব্যক্তির নাম বালাসাহেব ভাপকর। এ ছাড়াও এই অর্থ তছরুপকাণ্ডে যুক্ত আরও ৪ জনকে সাজা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

Advertisement

পুলিশ এবং তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, মধ্যপ্রদেশের বাসিন্দা বালাসাহেব ‘সাইপ্রসাদ গ্রুপ কোম্পানিজ়’ নামে একটি সংস্থা প্রতিষ্ঠা করে এই চিটফান্ডের কারবার শুরু করেন। ২০০৯ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে বিভিন্ন গ্রাম এবং শহরতলিতে গিয়ে সংস্থার কর্মীরা জানাতেন, তাঁদের সংস্থায় টাকা রাখলে মাত্র ৫ বছরের মধ্যে আমানত দ্বিগুণ হবে। এই প্রতিশ্রুতিতে আকৃষ্ট হয়ে বহু মানুষ সংস্থায় টাকা রেখেছিলেন। এই টাকা বিভিন্ন আবাসন শিল্পে বিনিয়োগ করা হবে বলে দাবি করা হয়েছিল। কিন্তু তদন্তকারীদের দাবি, আবাসন প্রকল্পে একটি আবাসনও তৈরি হয়নি।

Advertisement

সংস্থার অনৈতিক কার্যকলাপ বন্ধ করতে কেন্দ্রীয় সংস্থা সেবির তরফেও কিছু বিধিনিষেধ জারি করা হয়। কিন্তু অভিযোগ, বালাসাহেব টাকাগুলি অন্যান্য ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করতে থাকেন। তাঁর ব্যবসার এতই প্রসার হয় যে, দেশের ২০টি রাজ্যে তিনি আমানতকারীদের কাছ থেকে টাকা তুলতে থাকেন। সংস্থার টাকা অন্তত ২৩টি ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করা হয়েছিল। প্রায় ৫ লক্ষ মানুষের কাছ থেকে ৪ হাজার কোটি টাকা তোলা হয়েছিল। সুদ-বাবদ টাকা মেটানো হচ্ছে না এই অভিযোগ তুলে প্রায় ৩০০ জন আমানতকারী পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪২০, ৪০৯ এবং ১২০বি ধারায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়। তবে এত দিন কাউকে কারাবন্দি করার নির্দেশ দেশ বিরল বলেই মনে করছেন অনেকে। যাবজ্জীবন এই সাজার বিরুদ্ধে ওই চিটফান্ড মালিক উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার কথা জানিয়েছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement