মেরিন ড্রাইভে সময় কাটাচ্ছিলেন। রাত ২টোয় কেন ঘুরছেন, এই প্রশ্ন করে পুলিশ ঘুষ নেয় বলে অভিযোগ। —ফাইল চিত্র।
দেশের বাণিজ্যনগরী নাকি রাতেই জাগে। কিন্তু মাঝরাতে মুম্বইয়ের মেরিন ড্রাইভে বসার ‘অপরাধে’ পুলিশকে ২০০০ টাকা ঘুষ দিতে হয়েছে তাঁকে। এমনই অভিযোগ করে টুইটারে ক্ষোভ উগরে দিলেন এক যুবক। প্রমাণ হিসeবে মোবাইলের স্ক্রিনশট দিয়ে তাঁর দাবি, পুলিশ যখন ঘুষ নিয়েছে, তাঁর কাছে তখন নগদ টাকা ছিল না। তাই ইউপিআই করে টাকা পাঠাতে হয়েছে।
এ কেমন মুম্বই! মুম্বই পুলিশের উদ্দেশে টুইটে এমনই প্রশ্ন তোলেন তিনি। পরে মুম্বই পুলিশের তরফে তার জবাবও এসেছে।
যুবকের অভিযোগ, দিন কয়েক আগে মেরিন ড্রাইভে একা বসেছিলেন তিনি। রাত তখন ২টো। আরব সাগরের সৌন্দর্য উপভোগ করছিলেন। হঠাৎ তাঁর সামনে উপস্থিত হয় পুলিশের পোশাক পরা এক ব্যক্তি। এত রাতে কেন সমুদ্রপারে বসে আছেন, এই প্রশ্ন করে তাঁকে ‘জরিমানা’ দিতে বলা হয়। এক কথা, দু’কথার পরে বচসা হয়। কিন্তু যুবককে বাধ্য করা হয় ২ হাজার টাকা ‘জরিমানা’ দেওয়ার জন্য। যুবকের অভিযোগ, ২ হাজার টাকা ঘুষ দিতে হয়েছে ডিজিটাল লেনদেন মাধ্যমে।
যুবকের এই টুইট ভাইরাল হতেই জবাব দেয় মুম্বই পুলিশ। তারা জানায়, যে নামের কথা অভিযোগকারী বলছেন, ওই নামে কোনও পুলিশ মেরিন ড্রাইভ থানায় কাজ করেন না। অর্থাৎ, যুবককে বোকা বানিয়ে কেউ টাকা নিয়ে গিয়েছেন।
কিন্তু এখানেই থামেনি বিতর্ক। ওই টুইট রিটুইট করে একাধিক নেটাগরিক তাঁদের মেরিন ড্রাইভে বেড়ানোর খারাপ অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিতে থাকেন। কেউ জানান, বান্ধবীকে নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার ‘অপরাধে’ পুলিশ তাঁর কাছে ঘুষ নিয়েছে। কেউ বলেছেন স্ত্রীকে নিয়ে আরব সাগরের পারে বেড়াতে গিয়ে পুলিশের হেনস্থার শিকার হয়েছেন। পাশাপাশি, পুলিশের দাবির প্রেক্ষিতে তাঁদের প্রশ্ন, যদি ভুয়ো পুলিশই সাধারণ মানুষকে হয়রানি করে সেটাও তো দেখার কথা প্রশাসনেরই। পুলিশের পরিচয় দিয়ে কেউ টাকা নিয়ে গেলে তাঁকে ধরার দায়িত্বও তো পুলিশেরই। সব মিলিয়ে ওই টুইট নিয়ে নেটদুনিয়ায় শোরগোল।