প্রতাপ চৌহান এবং শিবানী চৌহান। ছবি: সংগৃহীত।
দাম্পত্য অশান্তির জেরে আত্মঘাতী হলেন স্বামী। সেই খবর শুনে নিজেকে শেষ করে দিলেন স্ত্রী-ও। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদে।
পুলিশ সূত্রের খবর, মৃতদের নাম প্রতাপ চৌহান এবং শিবানী চৌহান। ৩২ বছরের প্রতাপ এবং ২৮ বছরের শিবানী সম্পর্কে স্বামী-স্ত্রী। তাঁদের এক বছরের একটি সন্তান রয়েছে। তদন্তে উঠে এসেছে, বিয়ের পর থেকেই ওই দম্পতির মধ্যে অশান্তি লেগেই থাকত। শুক্রবারও একই ঘটনা ঘটেছিল তাঁদের গাজিয়াবাদের লোনি বর্ডার এলাকার বাড়িটিতে। শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রতাপের সঙ্গে ঝগড়া করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান শিবানী। বাড়ি ছাড়ার আগে স্বামীকে বলে যান, তিনি আর ফিরবেন না।
এর কিছু ক্ষণ পর যুবকের এক কাকিমা মীরা বাড়িতে ঢুকে দেখেন, গলায় ফাঁস নিয়ে ঝুলছেন প্রতাপ। তাঁর চেঁচামেচিতে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। প্রতাপের মৃত্যুসংবাদ দেওয়ার জন্য শিবানীকে ফোন করেন মীরা। কয়েক বার ফোন রিং হয়ে যায়। শেষমেশ ফোন তোলেন শিবানী। তাঁকে প্রতাপের আত্মহত্যার খবর দেন মীরা। তার পরেই ফোনটি কেটে যায়।
পুলিশ সূত্রের খবর, রাতে উত্তর দিল্লি যাওয়ার রাস্তায় একটি বৈদ্যুতিক খুঁটিতে এক যুবতীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। পরে জানা যায়, তিনিই শিবানী। মনে করা হচ্ছে,স্বামীর আত্মহত্যার খবর পেয়ে তিনিও আত্মঘাতী হয়েছেন। দু’টি দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছে গাজিয়াবাদের পুলিশ। দু’জনের কারও কাছ থেকেই কোনও সুইসাইড নোট মেলেনি। তবে গলায় ফাঁসের দাগ ছাড়াও শিবানীর শরীরে কিছু আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। ঘটনার তদন্তের জন্য ফরেন্সিক দল ডাকা হয়েছে।