গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।
গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে মায়ানমারের সামরিক জুন্টা সরকারের টেলিকম সংস্থা ‘টেলিকম ইন্টারন্যাশনাল মায়ানমার কোম্পানি লিমিটেড’ (মাইটেল)-এর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করল আমেরিকা। ঘটনাচক্রে, প্রেসিডেন্ট পদে ডোনাল্ড ট্রাম্প দায়িত্ব নেওয়ার ঠিক ন’দিন আগে!
আমেরিকার বাণিজ্য মন্ত্রকের অধীনস্থ সংস্থা ‘ডিপার্টমেন্টের ব্যুরো অফ ইন্ডাস্ট্রি অ্যান্ড সিকিউরিটি’ জানিয়েছে, আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা এবং বিদেশনীতি সংক্রান্ত স্বার্থের পরিপন্থী আচরণের কারণেই এই পদক্ষেপ। এর আগে জো বাইডেনের জমানায় গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে কেন্দ্রীয় যোগাযোগ কমিশন (ফেডারেল কমিউনিকেশনস কমিশন বা এফসিসি) হুয়াইয়ে, জেডটিই, হাইতেরা কমিউনিকেশনস, হাংঝু হিকভিশন ডিজিটাল টেকনোলজি কোম্পানি এবং দাহুয়া টেকনোলজি-সহ বেশ কয়েকটি চিনা টেলিকম সংস্থার টেলিযোগাযোগ ও ভিডিও নজরদারি সরঞ্জাম আমদানি নিষিদ্ধ করেছিল। অভিযোগ তুলেছিল, ৫-জি মোবাইল পরিষেবায় চিনা সরঞ্জামের ব্যবহারের ফলে জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত স্পর্শকাতর তথ্য পাচার হওয়ার আশঙ্কার।
চিনা টেলিকম সংস্থাগুলির সঙ্গে মাইটেলের ‘ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক’ রয়েছে বলে প্রকাশিত কয়েকটি খবরে দাবি। প্রেসিডেন্ট পদে ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে কার্যকর হয়েছিল ‘সিকিওর অ্যান্ড ট্রাস্টেড কমিউনিকেশনস নেটওয়ার্কস অ্যাক্ট’। সেই আইনকে হাতিয়ার করেই গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে বিদেশি টেলিযোগাযোগ সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করেছে ওয়াশিংটন। মাইটেল কর্তৃপক্ষ মানবাধিকার লঙ্ঘন করে বিরোধীদের গতিবিধি চিহ্নিত করতে জুন্টা সরকারকে সাহায্য করেছে বলেও জানিয়েছে, ‘ডিপার্টমেন্টের ব্যুরো অফ ইন্ডাস্ট্রি অ্যান্ড সিকিউরিটি’। ১৫ মাসের গৃহযুদ্ধে কোণঠাসা হয়ে পড়া জুন্টার কাছে আমেরিকার এই সিদ্ধান্ত বড় ধাক্কা বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, এই নিষেধাজ্ঞার ফলে আমেরিকা এবং তার মিত্রদেশগুলি থেকে যন্ত্র ও সরঞ্জাম আমদানি করতে বিপাকে পড়বে তাদের টেলিকম কোম্পানি।