অভিযোগ, ছেলে ঘুমোতেই টিভি চালান শশীপাল। জোরে গান চালিয়ে দেন। এর পর একমাত্র পুত্রকে শ্বাসরোধ করে খুন করেন তিনি। ছবি: সংগৃহীত।
তৃতীয় পক্ষের স্ত্রী সতীনের ছেলেকে পছন্দ করেন না। তাই গোঁসা করে বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছেন। স্ত্রীকে ‘খুশি’ করতে ৭ বছরের ছেলেকে গলা টিপে খুন করলেন বাবা। মঙ্গলবার চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের ইনদওরে। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তের নাম শশীপাল মুণ্ডে। ২৬ বছরের ওই যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
৭ বছরের প্রতীক মুণ্ডে তৃতীয় শ্রেণির পড়ুয়া। এমনিতে দাদু-ঠাকুমার কাছে ঘুমোত মা হারা ওই ছেলেটি। কিন্তু রবিবার রাতে বাবা তাকে তাঁর ঘরে ঘুমোতে যেতে বলে। পুলিশ সূত্রে খবর, বাড়িতে নতুন কুলার এনেছে বলে ছেলেকে তাঁর কাছে ঘুমোতে ডাকেন বাবা। কুলারের কথা শুনে শিশুটি উচ্ছ্বসিত হয়ে দাদু-ঠাকুমাকে জানায় সে বাবার কাছে শোবে।
অভিযোগ, ছেলে ঘুমোতেই টিভি চালান শশীপাল। জোরে গান চালিয়ে দেন। এর পর একমাত্র পুত্রকে শ্বাসরোধ করে খুন করেন তিনি। এখানেই শেষ নয়। তদন্তকারীরা জানতে পারেন, ছেলেকে খুনের পর তৃতীয় স্ত্রী পায়েলকে ভিডিয়ো কল করেন শশীপাল। কিন্তু তিনি ফোন তোলেননি। তাই ছেলের নিথর দেহের ভিডিয়ো করে স্ত্রীকে পাঠান। জানাতে চান, স্ত্রী যেহেতু সহ্য করতে পারে না ছেলেকে, তাই তাকে খুন করেছেন তিনি। কিন্তু ওই ভিডিয়ো না দেখে তাঁর নম্বর ব্লক করে দেন পায়েল।
এর পর শশীপাল বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। যদিও পরে শশীপাল এবং পায়েলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশের দাবি, নিজের মুখে খুনের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন অভিযুক্ত। তিনি জানান, কিছু দিন আগে পায়েল এবং তাঁর একটি সন্তান হয়েছে। কিন্তু সৎ ছেলে বাড়িতে থাকলে তিনি আর শ্বশুরবাড়িতে থাকবেন না বলে বাপের বাড়ি চলে যান পায়েল। স্ত্রীকে ‘খুশি’ করতে গিয়েই ছেলেকে খুন করেছেন বলে জানান শশীপাল। অন্য দিকে, পায়েল দাবি, করেন এই ঘটনায় তাঁর কোনও হাত নেই। পুলিশকে তিনি বলেন, ‘‘আমি কখনও স্বামীকে বলিনি যে ছেলেকে খুন করে ফেল।’’ পুলিশ জানিয়েছে দু’জনেরই বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। পাশাপাশি, অভিযুক্তের ফোন থেকে খুনের ভিডিয়ো মিলেছে।