Online fraud

প্রধানমন্ত্রীর ভাইঝি পরিচয় দিয়ে প্রাক্তন সেনাকর্তার সঙ্গে বন্ধুত্ব, লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়ে উধাও তরুণী

মঙ্গলবার উত্তরপ্রদেশের বালিয়া জেলার পুলিশের কাছে মহিলার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন উপেন্দ্র রাঘব।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৭ মে ২০২৩ ১০:১৩
Share:

যদি শেয়ার বাজারে অর্থ বিনিয়োগ করেন, তবে তার চেয়ে বেশি পরিমাণ টাকা উপেন্দ্রকে ফেরত দিতে পারবেন বলে ভরসাও দিয়েছিলেন ভেরোনিকা। প্রতীকী ছবি।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভাইঝি ভেরোনিকা মোদী পরিচয় দিয়ে উত্তরপ্রদেশের এক প্রাক্তন কর্নেলের সঙ্গে আলাপ জমিয়েছিলেন এক তরুণী। তার পর কর্নেলের কাছ থেকে ২১ লক্ষ টাকা নিয়ে পালিয়ে গিয়েছেন বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার উত্তরপ্রদেশের বালিয়া জেলার পুলিশের কাছে মহিলার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন উপেন্দ্র রাঘব। পটেল নগর কলোনির বাসিন্দা উপেন্দ্র পেশায় ভারতীয় সেনায় কর্নেল ছিলেন। বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মী তিনি।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, কয়েক মাস আগে বালিয়া জেলার বাসিন্দা কোমল পাণ্ডে নামে এক মহিলার সঙ্গে আলাপ হয় উপেন্দ্রের। কর্নেলের সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতান কোমল। উপেন্দ্রের অভিযোগ, কোমল তাঁকে জানিয়েছিলেন যে, প্রধানমন্ত্রীর ভাইঝি ভেরোনিকা মোদীর সঙ্গে পরিচয় রয়েছে তাঁর। কোমলের মারফত ভেরোনিকা পরিচয় দেওয়া ওই তরুণীর সঙ্গে আলাপ করেন উপেন্দ্র।

উপেন্দ্রের দাবি, শেয়ার বাজারে অর্থ বিনিয়োগ করতে তাঁকে উৎসাহ দিতেন ভেরোনিকা। উপেন্দ্র যদি শেয়ার বাজারে অর্থ বিনিয়োগ করেন, তবে তার চেয়ে বেশি পরিমাণ টাকা উপেন্দ্রকে ফেরত দিতে পারবেন বলে ভরসাও দিয়েছিলেন ভেরোনিকা। তরুণীর কথায় ২১ লক্ষ টাকা দিতে রাজি হন উপেন্দ্র। তাঁর দাবি, ভেরোনিকা তাঁর বন্ধু রমেশ শর্মার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সেই টাকা জমা করতে বলেছিলেন উপেন্দ্রকে।

Advertisement

কয়েক দিন পর যখন উপেন্দ্র সেই টাকা ফেরত চান, তখন ভেরোনিকা হোয়াটসঅ্যাপে ১৮ লক্ষ টাকার একটি ভুয়ো চেক পাঠান বলে দাবি করেন উপেন্দ্র। ভুয়ো চেক পাঠিয়েই উধাও হয়ে যান ভেরোনিকা। এমনটাই পুলিশকে জানিয়েছেন তিনি। বার বার ভেরোনিকার সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করার পরেও ব্যর্থ হন উপেন্দ্র। এর পরেই ভেরোনিকা এবং রমেশের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন উপেন্দ্র। ভারতীয় আইনবিধির ৪২০ নম্বর ধারা এবং ৪০৬ নম্বর ধারা অনুযায়ী ভেরোনিকা এবং রমেশের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে পুলিশ। উত্তরপ্রদেশ থানার পুলিশ আধিকারিকেরা জানান, কল রেকর্ড এবং চ্যাট খতিয়ে দেখে অভিযুক্তদের খুঁজতে তদন্ত শুরু করেছেন তাঁরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement