প্রতীকী ছবি।
স্ত্রীকে ‘খুনের’ অভিযোগ তুলেছিলেন শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। আর সেই অভিযোগেই জেল খাটছেন স্বামী। কিন্তু আসল ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছেন তদন্তকারীরা।
বিহারের চম্পারণ জেলার বাসিন্দা হরিশ কুমার। তাঁর বিরুদ্ধে স্ত্রীকে খুনের অভিযোগ তুলেছেন তাঁরই শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। হরিশকে গ্রেফতারও করে নিয়ে যায় পুলিশ। দিন দশেক আগে হরিশের শ্বশুরবাড়ির লোকেরা অভিযোগ করেন, ৫০ হাজার টাকা পণ চেয়েছিলেন জামাই হরিশ। কিন্তু তা দিতে না পারায় তাঁদের মেয়ের উপর চাপ সৃষ্টি করছিলেন। সেই পণ না পেয়ে মা-বাবা এবং ভাইকে সঙ্গে নিয়ে স্ত্রীকে খুন করেন হরিশ।
কিন্তু কাহিনি মোড় নেয় অন্য জায়গায়। তদন্তে নেমে পুলিশের সন্দেহ হয় হরিশের শ্বশুরবাড়ির লোকের উপর। তাঁদের উপর নজর রাখতে শুরু করে পুলিশ। দেখা যায়, হরিশের স্ত্রীর পরিবারের কয়েক জন সদস্য তাঁর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ রাখছেন। এর পরই তদন্তকারীরা হরিশের শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের ফোন ট্র্যাক করতে শুরু করেন। সেই সূত্র ধরেই তাঁরা জানতে পারেন, মহিলা খুন হননি। প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে গিয়ে পঞ্জাবের জালন্ধরে আশ্রয় নিয়েছেন।
এর পরই বিহার পুলিশ পঞ্জাব পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে। তাদের সহযোগিতায় মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়। তবে তাঁর প্রেমিকের কোনও হদিশ পায়নি তারা। প্রেমিকের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।