প্রতীকী ছবি।
খুনের মামলার তদন্ত করে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছিল খুনির ব্যবহার করা ছুরি-সহ অন্য নানা তথ্যপ্রমাণও। কিন্তু সে সবই একটি হনুমান চুরি করে পালিয়েছে বলে আদালতকে জানায় পুলিশ। রাজস্থানের জয়পুরে ঘটেছে এমনই অদ্ভুত ঘটনা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৬ সালে জয়পুরের চন্দওয়াজি থানা এলাকার এক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে শশীকান্ত শর্মা নামে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে খুন করা হয়েছিল। এর পর, তাঁর পরিবার-পরিজন জয়পুর-দিল্লি জাতীয় সড়ক অবরোধ করে ‘ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত’ এবং ‘অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি’র দাবি করেন।
তদন্তে নেমে কয়েক দিন পর পুলিশ খুনে জড়িত থাকার অভিযোগে রাহুল কান্দেরা এবং মোহনলাল কান্দেরা নামে দু’জনকে গ্রেফতার করেছিল। উদ্ধার করা হয়েছিল খুনে ব্যবহৃত ছুরি-সহ মোট ১৫টি ‘আইটেম’। নিয়ম মেনে আদালত শুনানির আগে সেগুলি জমা দিতে বলে। আর তখনই দেখা যায়, খুনে ব্যবহৃত ছুরি-সহ সমস্ত প্রমাণই লোপাট হয়ে গিয়েছে।
পুলিশের তরফে আদালতকে জানানো হয়, ছুরি-সহ অন্য জিনিসগুলি একটি ব্যাগে ভরে নিয়ে যাওয়ার সময় একটি হনুমান সেটি ছিনতাই করে পালিয়ে যায়। বিচারক এই ঘটনাকে সরাসরি ‘পুলিশের গাফিলতি’ বলে বর্ণনা করেন। পাশাপাশি, খুনের মামলার প্রমাণগুলি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে বিভাগীয় পদক্ষেপের সুপারিশ করেন। সম্প্রতি পুলিশ আদালতকে জানিয়েছে, ওই কনস্টেবলকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। পরে তিনি মারা যান।