সাগরের সভায় কংগ্রেস নেতা কমল নাথ এবং মল্লিকার্জুন খড়্গে। ছবি: পিটিআই।
বিধানসভা ভোটের আগে মধ্যপ্রদেশের জনতাকে পাঁচ প্রতিশ্রুতি দিল কংগ্রেস। তার মধ্যে রয়েছে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চালু করা ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ প্রকল্পের অনুকরণে মহিলাদের আর্থিক অনুদানের অঙ্গীকারও। মধ্যপ্রদেশের জনতাকে এমনই পাঁচটি উপহার দেওয়ার কথা জানাল কংগ্রেস। মঙ্গলবার কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে মধ্যপ্রদেশের সাগরে দলীয় কর্মসূচি থেকে এ কথা ঘোষণা করেছেন।
খড়্গে জানিয়েছেন, মধ্যপ্রদেশের আসন্ন বিধানসভা ভোটে জিতলে সে রাজ্যের প্রতিটি পরিবারের গৃহকর্ত্রীকে মাসে প্রতি মাসে ১,৫০০ টাকা দেওয়া হবে। গৃহস্থালীর কাজে ব্যবহৃত গ্যাসের সিলিন্ডারের দাম ৫০০ টাকা করার জন্য প্রয়োজনীয় ভর্তুকির ব্যবস্থাও করা হবে। পাশাপাশি তাঁর প্রতিশ্রুতি, প্রতি পরিবারকে ১০০ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিনামূল্যে দেবে কংগ্রেস। ২০০ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুতের দাম অর্ধেক করা হবে। কৃষিঋণ মকুব এবং পুরনো পেনশন প্রকল্প ফিরিয়ে আনারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে কংগ্রেস সভাপতির মন্তব্য, ‘‘মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেস ক্ষমতায় ফিরলে চালু হবে জাতভিত্তিক গণনার কাজ। সন্ত রবিদাসের নামে হবে বিশ্ববিদ্যালয়।’’
চলতি বছরের নভেম্বর-ডিসেম্বরে রাজস্থান, ছত্তীসগঢ়, তেলঙ্গানা, মিজোরামের সঙ্গেই মধ্যপ্রদেশেও বিধানসভা ভোট হওয়ার কথা। বিভিন্ন জনমত সমীক্ষা বলছে, সে রাজ্যে এ বার বিজেপিকে চাপে ফেলতে পারে কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহানের সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগে গত কয়েক মাসে একের পর এক বিজেপি নেতা কংগ্রেস যোগ দিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার অবিভক্ত মধ্যপ্রদেশের উন্নয়নে স্বাধিনতার পর থেকে কংগ্রেসের ভূমিকার কথা তুলে ধরে বিজেপি এবং ‘ডাবল ইঞ্জিন সরকারকে’ নিশানা করেন খড়্গে।
সাগরের সভায় তিনি বলেন, ‘‘অবিভক্ত মধ্যপ্রদেশে ভিলাই ইস্পাত কারখানা, ইন্দিরা সাগর বাঁধ, ইনদওরের আইআইটি এবং আইআইএম, ভোপালের এমস, মৌলানা আজাদ ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি, গোয়ালিয়রের রানি লক্ষ্মীবাই ইনস্টিটিউট, চম্বল উপত্যকা উন্নয়ন প্রকল্প কংগ্রেসের আমলেই হয়েছিল। বহু মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছিল। নরেন্দ্র মোদী এবং শিবরাজ সিংহরা ভুরি ভুরি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কিন্তু তা পূরণ করেননি। দু’কোটি চাকরি, মাথাপিছু ১৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা বিজেপি এখন বলে না।’’ প্রসঙ্গত, ২০১৮-র বিধানসভা ভোটে জিতে মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেস ক্ষমতা দখল করলেও দেড় বছরের মাথাতেই জ্যোতিরাদিত্যের সাহায্যে দু’ডজন বিধায়ক ভাঙিয়ে কমলের সরকারের পতন ঘটিয়েছিল বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী হন শিবরাজ।