BRICS

দক্ষিণ আফ্রিকায় গেলেই গ্রেফতার! রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন তাই এড়ালেন ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলন

ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধ, গণহত্যা ও শিশুদের জোর করে স্থানান্তরিত করার অভিযোগে পুতিনের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)। গত মার্চ মাসে জারি হয় গ্রেফতারি পরোয়ানাও।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

জোহানেসবার্গ শেষ আপডেট: ২২ অগস্ট ২০২৩ ১৫:২৩
Share:

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দক্ষিণ আফ্রিকায় ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে গরহাজির। — ফাইল চিত্র।

ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল আগেই। মঙ্গলবার মস্কোর তরফে আনুষ্ঠানিক ভাবে জানিয়ে দেওয়া হল, ব্রিকস (ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চিন, দক্ষিণ আফ্রিকা) রাষ্ট্রগোষ্ঠীর শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে দক্ষিণ আফ্রিকা যাবেন না রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ক্রেমলিনের তরফে কোনও ‘কারণ’ জানানো না-হলেও কূটনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছেন গ্রেফতারি এড়াতেই পুতিনের এই সিদ্ধান্ত।

Advertisement

ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধ, গণহত্যা এবং শিশুদের জোর করে স্থানান্তরিত করার অভিযোগে পুতিনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)। গত মার্চ মাসে জারি হয় গ্রেফতারি পরোয়ানাও। প্রাথমিক ভাবে শোনা গিয়েছিল, দক্ষিণ আফ্রিকা আইসিসি চুক্তিভঙ্গ করবে। পুতিনকে তারা গ্রেফতার করবে না। কিন্তু সে দেশের বিরোধী দল এবং মানবাধিকার সংগঠনগুলি এ বিষয়ে সরব হয়। তারা দাবি জানায়, পুতিন দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রবেশ করলে তাঁকে গ্রেফতার করতেই হবে।

তার পরে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা জানান, তাঁরা আইসিসি-র সদস্য দেশ। ফলে সে দেশে পা রাখলেই গ্রেফতার করতে হবে পুতিনকে। এর পরে রামাফোসা রুশ প্রেসিডেন্টকে ফোন করে জোহানেসবার্গে না আসার অনুরোধ জানান বলেও দক্ষিণ আফ্রিকার সংবাদমাধ্যমের দাবি। বস্তুত, জুলাই মাসেই রাশিয়া জানিয়েছিল, ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে দক্ষিণ আফ্রিকায় পুতিন না-ও যেতে পারেন। সে ক্ষেত্রে তাঁর স্থান পূরণ করবেন রুশ বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। মঙ্গলবার তা নিশ্চিত ভাবে জানা গিয়েছে।

Advertisement

আগামী ২২-২৪ অগস্ট থেকে জোহানেসবার্গে ব্রিকসের পঞ্চদশ শীর্ষ সম্মেলনে ভারত-সহ পাঁচ সদস্যরাষ্ট্রের পাশাপাশি যোগ দেবেন প্রায় ৩০টি পর্যবেক্ষক রাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মঙ্গলবারই পৌঁছে গিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকায়। পৌঁছেছেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। চিনের তরফে ইতিমধ্যেই ব্রিকসের সম্প্রসারণের প্রস্তাব দেওয়া হলেও ভারত তাতে সায় দেয়নি। কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, চিনে উদ্দেশ্য হল আমেরিকার নেতৃত্বাধীন জি৭-এর সমকক্ষ একটি আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী তৈরি করা, যার রাশ থাকবে চিনের হাতে। অর্থাৎ পুরনো ব্লক রাজনীতির ধাঁচে আমেরিকার বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী অক্ষ তৈরি করা। আমেরিকা-সহ পশ্চিমী দুনিয়ায় মোকাবিলার জন্য সেই উদ্যোগকে সমর্থন জানিয়েছেন রাশিয়াও।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement