ইংরাজি বর্ণমালার বইতে ইতিহাত ও পুরাণের চরিত্র। —ফাইল ছবি
ছোটদের ইংরেজি অক্ষর চিনতে শেখার প্রথম ধাপ ‘এ ফর অ্যাপেল’, ‘বি ফর বল’। কিন্তু উত্তরপ্রদেশে সেই বহু পরিচিত বইয়ের ভাষা বদলে গিয়েছে। একটি স্কুলে ছোটদের ইংরেজি অক্ষর শেখানোর বইতে এ-তে আপেলের বদলে বসানো হয়েছে ‘অর্জুন’। বল নয়, ছোটরা বি চিনছে ‘বলরাম’ দিয়ে। আর সি-তে বিড়ালের পরিবর্তে রাখা হয়েছে চাণক্যের নাম। ইংরেজি বর্ণমালার ২৬টি অক্ষরই এভাবে পুরাণ কিংবা ভারতের ঐতিহাসিক কোনও চরিত্রের নামে চিহ্নিত করা হয়েছে।
লখনউয়ের আমিনাবাদ ইন্টার কলেজে ছোটদের বইতে ইংরেজি বর্ণমালার এই ‘ভোলবদল’ করা হয়েছে। উদ্দেশ্য, ছোট থেকেই শিশুদের মধ্যে দেশের ইতিহাস এবং পুরাণ সম্পর্কে সচেতনতা বিস্তার করা। ইংরেজি অক্ষরগুলিকে কাজে লাগিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ দেশের ইতিহাস ও পুরাণের নানা চরিত্র ছোটদের চেনাতে চেয়েছে। এ ক্ষেত্রে, ডি-তে রয়েছেন ধ্রুব, ই-তে একলব্য, আই-তে ইন্দ্র এবং এইচ চিনিয়েছে হনুমানকে।
লখনউয়ের ওই কলেজের অধ্যক্ষ সাহেব লাল মিশ্র বলেন, ‘‘ভারতীয় সংস্কৃতি সম্পর্কে ছাত্রছাত্রীদের ধারণা খুব কম। তাই আমরা ওদের জ্ঞান বাড়ানোর জন্য এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।’’ ইংরেজির পাশাপাশি হিন্দি অক্ষরের ক্ষেত্রেও একই পন্থা নেওয়ার ভাবনাচিন্তা চলছে বলে জানিয়েছেন অধ্যক্ষ। তবে হিন্দিতে অক্ষরের সংখ্যা অনেক বেশি হওয়ায় তার তালিকা প্রস্তুত করতে সময় বেশি লাগছে।
পুরাণ ও ইতিহাসের চরিত্রগুলির শুধু নাম নয়, তাঁদের সম্পর্কে বর্ণনাও রয়েছে ছোটদের বইতে। স্কুলের তরফেই সেই তালিকা এবং বর্ণনা প্রস্তুত করা হয়েছে। লখনউয়ের এই স্কুলটি ১২৫ বছরের পুরনো। ১৮৯৭ সালে স্কুলটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ছোটদের বইতে স্কুলের এই ধরনের উদ্যোগ চর্চার কেন্দ্রে উঠে এসেছে।