মহিলাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। প্রতীকী ছবি।
ট্রাক্টর কেনার ঋণ শোধ করতে পারেনি বিশেষ ভাবে সক্ষম কৃষক। ঋণ আদায় করতে এসে ওই কৃষকের অন্তঃসত্ত্বা মেয়েকে সেই ট্রাক্টর দিয়েই পিষে দিলেন এক ঋণ আদায়কারী কর্মী। বৃহস্পতিবার ঝাড়খণ্ডের হাজারিবাগ জেলায় ইচক থানার অধীনে এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে একটি বেসরকারি ঋণ প্রদানকারী সংস্থার থেকে ঋণ নিয়ে বেশ কিছু মাস আগে একটি ট্রাক্টর কিনেছিলেন ওই কৃষক। তবে চাষ করে বিশেষ লাভের মুখ না দেখায় ট্রাক্টর কেনার ঋণের কিস্তি মেটাতে পারেননি তিনি। আর সেই কিস্তির টাকা সংগ্রহ করতেই তাঁর বাড়িতে পৌঁছন ওই ঋণ প্রদানকারী সংস্থার এক আদায়কর্মী। ঋণ মেটানো নিয়ে কৃষক এবং আদায়কর্মীর মধ্যে তর্কাতর্কি শুরু হয়। এই সময় ওই কৃষকের তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা মেয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন। তাঁর সঙ্গেও ওই আদায়কর্মীর বাগ্বিতণ্ডা শুরু হয়। এর পরই ট্রাক্টর দিয়ে ওই অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে পিষে দেন অভিযু্ক্ত কর্মী। মহিলাকে তড়িঘড়ি স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
মৃতার এক আত্মীয়ের দাবি, ওই বেসরকারি ঋণ প্রদানকারী সংস্থার কর্মীরা তাঁদের আগে থেকে কিছু না জানিয়ে হঠাৎ করে বাড়িতে চড়াও হন।
ডিএসপি মনোজ রতন চোথে সংবাদ সংস্থা এএনআইকে জানিয়েছেন, অভিযুক্ত ঋণ আদায়কারী কর্মী এবং ওই বেসরকারি ঋণ প্রদানকারী সংস্থার ম্যানেজার-সহ চার জনের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে।
পাশাপাশি স্থানীয় পুলিশও জানিয়েছে যে, এই ধরনের কোনও ঘটনায় ঋণ নিয়ে কেনা জিনিসপত্র উদ্ধার করতে গেলে ঋণ প্রদানকারী সংস্থার তরফে আগে থেকে পুলিশকে জানাতে হয়। কিন্তু এ ক্ষেত্রে পুলিশকে কিছুই জানানো হয়নি।
এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন ওই বেসরকারি ঋণ প্রদানকারী সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং সিইও অনীশ শাহ। পুরো বিষয়টি সংস্থার তরফ থেকেও খুঁটিয়ে দেখা হবে বলেও তিনি শুক্রবার জানিয়েছেন। এই মামলার তদন্তে সহযোগিতার আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি।