প্রতীকী চিত্র।
অতিমারির কারণে বিপর্যস্ত জনজীবন। অর্থনৈতিক ঝিমুনির জেরে গোটা দেশ জুড়ে বন্ধ হয়ে গিয়েছে বহু সংস্থা। কাজ গিয়েছে অথবা বেতন কমেছে প্রচুর মানুষের। সেই সঙ্গে বেড়েছে শরীর ও স্বাস্থ্যের ঝুঁকি। আর সেই কারণেই জীবন বিমার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করতে শুরু করেছেন সাধারণ মানুষ। কোভিডের সময়ে জীবন বিমা করানোর প্রবণতা যে অনেকটাই বেড়েছে, সেই দিকেই ইঙ্গিত করছে সাম্প্রতিক রিপোর্ট।
চলতি অর্থবর্ষের এপ্রিল-জুন ত্রৈমাসিকে জীবন বিমার প্রিমিয়ামের মোট অঙ্ক ছুঁয়েছে ৫২ হাজার ৭২৫.২৬ কোটি টাকা, যা গত অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকের তুলনায় ৬.৮৭ শতাংশ বেশি। জুন মাসেই বেড়েছে ৪ শতাংশ। এমনটাই জানাচ্ছে ইনসিওরেন্স রেগুলেটরি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়া (আইআরডিএআই)।
শুধু তাই নয়, এ বিষয়ে আরও একটি প্রবণতা লক্ষ্যনীয়। দেশে মোট ২৪টি বিমা সংস্থা রয়েছে। তার মধ্যে একটিই মাত্র রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা— লাইফ ইনসিওরেন্স কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া (এলআইসি)। আর বাকি ২৩টি হল বেসরকারি সংস্থা। আইআরডিএআই থেকে পাওয়া তথ্য বলছে, ২০২১-’২২ অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে ২৩টি বেসরকারি বিমা সংস্থার প্রিমিয়ামের মোট অঙ্ক প্রায় ৩৪ শতাংশ বাড়লেও গত বছরের তুলনায় এলআইসি-র প্রিমিয়াম অঙ্ক ৪.১৪ শতাংশ কমেছে।
এ ছাড়াও বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, সাম্প্রতিক সময়ে গুগল সার্চে টার্ম লাইফ ও প্রোটেকশন ইত্যাদির সার্চ অনেক বেড়ে গিয়েছে। অর্থাৎ বিমা নিয়ে সাধারণের মধ্যে সচেতনতা বাড়ছে। অতিমারি কালে জীবন কার্যত অনিশ্চিত হয়ে পড়ায় বিমা করানোর দিকে ঝুঁকতে বাধ্য হচ্ছেন মানুষ,বলছেন বিশেষজ্ঞরা।