প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
দিল্লিতে ধৃত লস্কর জঙ্গি এক জন অবসরপ্রাপ্ত সেনা। মঙ্গলবার এমনই দাবি করল পুলিশ। গত ৪ ফেব্রুয়ারি নয়াদিল্লি স্টেশন থেকে রিয়াজ আহমেদ নামে লস্কর-ই-তইবার এক জঙ্গিকে গ্রেফতার হয়েছিল। এক বিবৃতি জারি করে দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত লস্কর জঙ্গি সেনায় কর্মরত ছিলেন। জম্মু-কাশ্মীরে লস্করের হয়ে অস্ত্রশস্ত্র পাচার করতেন রিয়াজ।
দু’দিন আগেই জম্মু-কাশ্মীরের কুপওয়ারায় অভিযান চালানোর সময় লস্কর জঙ্গিদের একটি বড় চক্রের হদিস পায় পুলিশ। কুপওয়ারায় হামলা চালানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছিল বলে পুলিশ সূত্রে খবর। আর সেই হামলার জন্য লস্করের কিছু জঙ্গি ওই জেলায় জড়ো হয়েছিল। অভিযান চালানোর সময় পাঁচ সন্দেহভাজন জঙ্গিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁদের জেরা করে পুলিশ জানতে পারে, নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে জম্মু-কাশ্মীরের বিভিন্ন এলাকায় অস্ত্র সরবরাহ করতেন জঙ্গিদের।
এই দুই জঙ্গিকে জেরা করে রিয়াজের খোঁজ পায় পুলিশ। কিন্তু রিয়াজ তখন জম্মু-কাশ্মীরে ছিলেন না। গোপন সূত্রে পুলিশ খবর পায় রিয়াজ দিল্লিতে রয়েছেন। তার পরই জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ যোগাযোগ করে দিল্লি পুলিশের সঙ্গে। সেই খবর পেয়েই রিয়াজের খোঁজে নামে পুলিশ। গত রবিবার নয়াদিল্লি স্টেশন থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
জন্মু-কাশ্মীর পুলিশ জানতে পেরেছে, দিল্লি থেকে ধৃত লস্কর জঙ্গি রিয়াজ কুপওয়ারার নিউ গাবরা গ্রামের বাসিন্দা। সম্প্রতি লস্কর জঙ্গিদের যে চক্রের হদিস পেয়েছিল পুলিশ, সেখান থেকেই রিয়াজের নাম প্রকাশ্যে আসে। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের ‘ওয়ান্টেড’ তালিকায় ছিলেন তিনি। পুলিশ সূত্রে খবর, পাক অধিকৃত কাশ্মীরে লস্করের দুই ‘হ্যান্ডলার’-এর সঙ্গে যোগ ছিল রিয়াজের। সেই দুই ‘হ্যান্ডলার’ হলেন, মনজুর আহমেদ শেখ এবং কাজি মহম্মদ কুশল। এই দু’জন রিয়াজের মাধ্যমে জম্মু-কাশ্মীরে জঙ্গিদের অস্ত্র সরবরাহ করতেন। মঙ্গলবার সকালে নয়াদিল্লি স্টেশন থেকে অন্যত্র যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন রিয়াজ। কিন্তু তার আগেই পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যান। তাঁর কাছ থেকে একটি ফোন এবং সিম কার্ড উদ্ধার হয়েছে।