বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ। ছবি: এক্স।
মধ্যপ্রদেশে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে চলেছে। স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে প্রশাসন। বিস্ফোরণে আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৬০ জন। বিস্ফোরণের পর পরই কারখানার আশপাশের ৬০টি বাড়িতেও আগুন ধরে যায়। সেই বাড়িগুলি থেকে বাসিন্দাদের উদ্ধার করা হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। আরও একশোটি বাড়ি দ্রুত খালি করে দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার সকালে হরদা জেলার বৈরাগড়ের ওই বাজি কারখানায় আচমকাই পর পর জোরালো বিস্ফোরণ হয়, তার পর আগুন ধরে যায়। সেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে কারখানা সংলগ্ন বহু বাড়িতে। স্থানীয় সূত্রে খবর, ১০-১৫টি পর পর জোরালো বিস্ফোরণ হয়। সেই বিস্ফোরণের আওয়াজ কয়েক কিলোমিটার দূর থেকেও শোনা গিয়েছে। আকাশে আগুনের হলকা এবং ধোঁয়া দেখা যায় বহু দূর থেকে। আতঙ্কে ওই এলাকা ছেড়ে পালাতে শুরু করে লোকজন।
ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে পৌঁছে উদ্ধারকাজ শুরু করে। রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীও ঘটনাস্থলে যায়। একশোরও বেশি অ্যাম্বুল্যান্স আনা হয়। দমকলের বহু ইঞ্জিন আগুন নেভানোর কাজ করে। স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর, বিস্ফোরণের জেরে ৬০ জন শ্রমিক ঝলসে গিয়েছেন। বিস্ফোরণ যখন ঘটে সেই সময় বহু শ্রমিক কারখানার ভিতরেই ছিলেন। বিস্ফোরণের ফলে আগুন এত দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে যে, শ্রমিকেরা ভিতরেই আটকে পড়েন। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, কারখানার ভিতরে ১০০ জন শ্রমিক ছিলেন। হরদার জেলাশাসক ঋষি গর্গ এক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, আহতদের উদ্ধার করে হোসাঙ্গাবাদ এবং ভোপালের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাঁদের মধ্যে কয়েক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন জেলাশাসক।
বিস্ফোরণের খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছন জেলা এবং পুলিশ-প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকেরা। স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর, আহতদের মধ্যে মহিলা এবং শিশুও রয়েছে। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, কারখানায় ১০০ জন কর্মী ছিলেন। পুলিশ জানতে পেরেছে, কারখানাটির রাজু আগরওয়াল নামে এক ব্যক্তির। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে, আশপাশের বেশ কয়েকটি বাড়ি ভেঙে পড়েছে বলে দাবি স্থানীয়দের।
এই ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব। তিনি আহতদের দ্রুত চিকিৎসা করানোর নির্দেশ দিয়েছেন। ভোপান এবং ইনদওরের মেডিক্যাল কলেজ এবং ভোপাল এমসকে আহতদের টিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে বলেছেন তিনি। পরিস্থিতির উপর নজর রাখতে মন্ত্রী উদয় প্রতাপ এবং প্রশাসনের শীর্ষকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।