লালুপ্রসাদ যাদব। —ফাইল চিত্র।
অবস্থার অবনতি হওয়ায় দিল্লিতে স্থানান্তরিত করা হচ্ছে লালুপ্রসাদ যাদবকে। এই মুহূর্তে ঝাড়খণ্ডের রাঁচীর রাজেন্দ্র ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেস (রিমস)-এ ভর্তি রয়েছেন জেলবন্দি লালু। সেখান থেকে অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেস (এমস)-এ সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তাঁকে। আদালতের অনুমতি পেলে শনিবার সন্ধ্যার মধ্যেই লালুকে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে বলে তাঁর পরিবার সূত্রের খবর। সেই মতো প্রস্তুতিও নেওয়া হচ্ছে।
পশুখাদ্য দুর্নীতি মামলায় দোষী সাব্যস্ত লালু ২০১৭-র ডিসেম্বর থেকে সাজা কাটছেন। তবে শারীরিক অসুস্থতার জেরে বেশির ভাগ সময়টাই তিনি রিমস-এ কাটিয়েছেন। সম্প্রতি ফুসফুসে সংক্রমণ ধরা পড়ে তাঁর। এতদিন রিমস-এর চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণেই ছিলেন তিনি। কিন্তু অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে এমস-এ সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বাবার অনুপস্থিতিতে এই মুহূর্তে রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি)-এর যাবতীয় কাজকর্ম সামলাচ্ছেন তেজস্বী যাদব। তাঁর নেতৃত্বেই বিহার বিধানসভা নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে উঠে এসেছে আরজেডি। বাবার অসুস্থতার খবরে সমস্ত কাজকর্ম ফেলেপটনা থেকে রাঁচী ছুটে গিয়েছেন তিনি। জেলের চিকিৎসকরা রিপোর্ট দিলে তা নিয়ে নিম্ন আদালতে লালুকে এমস-এ সরানোর অনুমতি চাওয়া হবে। আদালতের অনুমতি মিললে তবেই এমস-এ নিয়ে যাওয়া হবে লালুকে।
শুক্রবার রাঁচীতে তেজস্বী বলেন, ‘‘আমরা চাই বাবার ভাল চিকিৎসা হোক। এখানে তা কতটা দেওয়া সম্ভব, তা চিকিৎসকরাই বলতে পারবেন। আপাতত পরিস্থিতি যথেষ্ট উদ্বেগজনক। বাবার হৃদযন্ত্রে অস্ত্রোপচার হয়েছে ইতিমধ্যে। কিডনির ২৫ শতাংশ কাজ করছে এই মুহূর্তে। পাশাপাশি নিউমোনিয়াও ধরা পড়েছে। শ্বাসকষ্টে ভুগছেন।’’ ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের সঙ্গেও এ নিয়ে তাঁর কথা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তেজস্বী।