অভিযুক্ত স্ত্রীকে বেকসুর খালাস করল কর্নাটক হাই কোর্ট। — প্রতীকী চিত্র।
বধূর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের কারণে স্বামী আত্মঘাতী হলে, সেই মৃত্যুর দায় স্ত্রীর উপর বর্তায় না। এমনটাই জানিয়েছে কর্নাটক হাই কোর্ট। স্বামীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল কর্নাটকের এক মহিলার বিরুদ্ধে। নিম্ন আদালত তাঁকে দোষী সাব্যস্তও করে দিয়েছিল। পরে নিম্ন আদালতের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন। আইনি খবর পরিবেশনকারী ওয়েবসাইট ‘বার অ্যান্ড বেঞ্চ’-এর প্রতিবেদন অনুসারে, নিম্ন আদালতের রায় খারিজ করে অভিযুক্ত বধূকে বেকসুর খালাস করে দিয়েছে হাই কোর্ট।
স্বামীর সঙ্গে বচসার সময় এক বার ওই মহিলা তাঁকে বলেছিলেন, “যাও, গিয়ে মরো”। সেই মন্তব্যের ভিত্তিতেই মৃতের পরিবারের সদস্যেরা বধূর বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তাঁদের বক্তব্য, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের কারণেই স্বামীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিয়েছিলেন মহিলা। সাবেক ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৬ ধারায় মামলা রুজু করেছিল পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছিল মহিলা ও তাঁর পুরুষ সঙ্গীকে।
ওই মামলায় কর্নাটক হাই কোর্টের বিচারপতি শিবশঙ্কর অমরান্নবরের একক বেঞ্চ জানিয়েছে, স্ত্রীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে আত্মহত্যা করেছেন স্বামী। তবে মহিলা তাঁর স্বামীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিয়েছেন, এই যুক্তি গ্রহণযোগ্য নয়। অভিযোগকারী পক্ষের দাবি, স্বামীর মৃত্যুর কিছু দিন আগেই ওই মহিলা তাঁকে ‘মরে যেতে’ বলেছিলেন। সেই অভিযোগটিও বিবেচনা করে দেখেছে হাই কোর্ট। তবে আদালতের পর্যবেক্ষণ, কেবলমাত্র এই শব্দটি ব্যবহার করায় এটি বলা যায় না তিনি স্বামীকে ‘মরে যাওয়ার’ জন্য প্ররোচিত করেছেন। হাই কোর্ট জানিয়েছে, আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার কোনও প্রামাণ্য নথি জমা দিতে পারেননি অভিযোগকারী। তাই ওই মহিলা ও তাঁর পুরুষ সঙ্গীকে বেকসুর খালাস করার নির্দেশ দিয়েছে কর্নাটক হাই কোর্ট।