বাঁ দিক থেকে কমল নাথ, জিতু পটওয়ারি। — ফাইল চিত্র।
মধ্যপ্রদেশে নতুন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হলেন জিতু পাটোয়ারি। সরানো হয়েছে প্রবীণ নেতা কমল নাথকে। সদ্যসমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনে পরাজয়ের পরেই অনগ্রসর শ্রেণির নেতা জিতুকে প্রদেশ কংগ্রেসের দায়িত্ব দিল হাইকমান্ড। মনে করা হচ্ছে, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত।
শনিবার কংগ্রেসের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে এই রদবদলের কথা। কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কেসি বেণুগোপাল এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, জিতু নতুন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। শীঘ্রই কার্যকর হবে এই নিয়োগ। বিদায়ী প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি কমল নাথের অবদানের প্রশংসাও করছে দল। বিধানসভা নির্বাচনে সাউ কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থীর কাছে ৩৫ হাজার ভোটে হেরেছেন জিতু। তার পরেও তাঁকে এই গুরুদায়িত্ব দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে দলের অন্দরে। রাজনীতিকদের একাংশ মনে করছেন, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করেই রদবদল।
সম্প্রতি কমলকে নিয়ে সমস্যাও তৈরি হয়েছিল দলে। জল্পনা ছিল, কমলের উপর কংগ্রেসের সর্বভারতীয় স্তরের নেতারা অসন্তুষ্ট হয়েছিলেন। বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র শরিক সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব এবং জেডিইউ নেতা নীতীশ কুমারের সঙ্গে আসন সমঝোতার নিয়ে কমলের মন্তব্য শীর্ষ নেতৃত্ব ভাল চোখে দেখেননি। এ সবের মাঝেই অনুঘটকের কাজ করেছে মধ্যপ্রদেশ বিধানসভার ফল। ২৩০টি আসনের মধ্যে ৬৬টি আসনে জিতেছে কংগ্রেস। যেখানে বিজেপি ১৬৩টি আসনে জিতে ক্ষমতা দখল করেছে। তার পরেই মধ্যপ্রদেশের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি আসনে বসানো হল জিতুকে।
রাজনীতিকদের অন্য একটি অংশ মনে করছেন, অনগ্রসর শ্রেণির নেতা জিতুকে তুলে এনে বিভিন্ন শ্রেণির মধ্যে ভারসাম্যও আনতে চাইছে কংগ্রেস। কমল ব্রাহ্মণ। তাঁর বদলে জিতুকে এনে অনগ্রসর শ্রেণির ভোটব্যাঙ্ক ভরতে চাইছে কংগ্রেস বলে মনে করেন অনেকে। জিতু আবার রাজ্যের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী যমুনা দেবীর ভাইপো।
মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেসের পরিষদীয় দলের নেতা নিয়োগ করা হয়েছে উমঙ্গ সিঙ্ঘারকে। বিধানসভায় তিনিই হতে চলেছেন বিরোধী নেতা। বিধানসভায় বিরোধী উপনেতা করা হয়েছে হেমন্ত কাটারেকে। এই হেমন্ত ব্রাহ্মণ, যাঁকে সামনে রেখে ব্রাহ্মণ ভোটব্যাঙ্ক পোক্ত করতে চাইছে কংগ্রেস বলেই জল্পনা।