—ফাইল চিত্র।
সব কিছু পরিকল্পনামাফিক এগোলে আগামী বছর ২২ জানুয়ারিই অযোধ্যায় রামমন্দির উদ্বোধন হতে চলেছে। গর্ভগৃহে ‘রামলালা বিরাজমান’-এর মূর্তি প্রতিষ্ঠার সেই অনুষ্ঠানে থাকার কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীরও। তা নজরে রেখেই শেষ মুহূর্তের কাজ চলছে। রামমন্দিরের উদ্বোধনে হাজির থাকতে আগে থেকেই অযোধ্যায় পৌঁছে যাচ্ছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ভক্তরা। এই পরিস্থিতিতে উদ্বোধনে ভক্তদের শহরে আসতে নিষেধ করলেন রামমন্দির ট্রাস্টের কর্তা চম্পত রাই।
রামমন্দির উদ্বোধনের দিন অযোধ্যায় যে ভিড় উপচে পড়তে পারে, সেই আশঙ্কা আগে থেকেই করেছিল উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন। সম্প্রতি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টেও দাবি করা হয়েছে যে, শহরের বেশির ভাগ হোটেলেই তিন দিন অর্থাৎ, ২১ থেকে ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত বুকিং করে রেখেছেন বহু মানুষ। এ ভাবে চলতে থাকলে ভিড়ে ঠাসাঠাসি অবস্থা হতে পারে অযোধ্যার। তা মাথায় রেখেই ভক্তদের উদ্দেশে চম্পত বলেন, ‘‘আগামী ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় আসার দরকার নেই।’’ তাঁর বার্তা, ওই দিন অযোধ্যায় না এসে বাড়ির কাছে কোনও মন্দিরে ‘আনন্দ মহোৎসব’ পালন করতে পারেন ভক্তেরা। তিনি বলেন, ‘‘ছোট-বড়, যে কোনও দেবতারই মন্দিরে যান ২২ জানুয়ারি। অযোধ্যায় আসবেন না।’’
চলতি মাসেই রামমন্দিরের নবনির্মিত গর্ভগৃহের ছবি প্রকাশ করেছে ট্রাস্ট। কিন্তু ২২ জানুয়ারির মধ্যে যে রামমন্দির পুরোপুরি তৈরি হবে না, তা আগেই জানিয়ে দিয়েছিল ট্রাস্ট। শনিবার ট্রাস্ট কর্তা এক সাক্ষাৎকারে জানালেন, মূর্তি ও গর্ভগৃহ নির্মাণ হয়ে গেলেও বাকি কাজ সম্পূর্ণ শেষ হতে বছর দুয়েক লেগে যাবে।
বিজেপি নেতৃত্ব মনে করছেন, লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে রামমন্দিরের উদ্বোধন ঘিরে দেশে উন্মাদনা তৈরি হবে। নতুন মাইলফলক তৈরি হবে বিজেপির ইতিহাসে। গত পাঁচ দশকে সঙ্ঘ পরিবারের রামমন্দির আন্দোলন চূড়ান্ত রূপ নিতে চলেছে রামমন্দির উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে। ট্রাস্ট সূত্রে জানা গিয়েছে, গোটা মন্দির চত্বরের কাজ শেষ হতে ২০২৫ সাল হয়ে যাবে। লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই তত দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করা হচ্ছে না।