Delhi

আপ ছাড়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই বিজেপিতে, ‘কঠিন সিদ্ধান্ত’ নিয়ে মুখ খুললেন কৈলাস গহলৌত

রবিবার আপের আহ্বায়ক অরবিন্দ কেজরীওয়ালকে চিঠি লিখে দল ছাড়ার কথা জানিয়েছিলেন কৈলাস। সেই চিঠির ছত্রে ছত্রে ছিল দলের বর্তমান অবস্থান এবং কাজকর্ম নিয়ে অসন্তোষ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ নভেম্বর ২০২৪ ১৩:৫২
Share:

কৈলাস গহলৌত। —ফাইল চিত্র।

জল্পনার অবসান! আম আদমি পার্টি (আপ) ছাড়ার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই বিজেপিতে যোগ দিলেন কৈলাস গহলৌত। রবিবার দুপুরে দিল্লির রাজনীতিতে শোরগোল ফেলে দিয়েছিলেন তিনি। আপ ছাড়ার পরই তাঁর বিজেপি যোগ নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছিল। যদিও রবিবার সারা দিন এ ব্যাপারে মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন তিনি।

Advertisement

সোমবার বিজেপিতে যোগ দিয়ে কৈলাস বলেন, ‘‘আপ ছাড়া আমার পক্ষে খুব সহজ পদক্ষেপ ছিল না। সেই প্রথম দিন থেকে আপের সঙ্গে ছিলাম। অণ্ণা হজারের আন্দোলনেও যুক্ত থেকেছি।’’ তার পরই তিনি বলেন, ‘‘অনেকে মনে করছেন আমি রাতারাতি সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কিংবা কোনও চাপের মুখে পড়ে আপ ছেড়েছি। আমি তাঁদের বলতে চাই, কোনও চাপ ছিল না।’’

রবিবার আপের আহ্বায়ক অরবিন্দ কেজরীওয়ালকে চিঠি লিখে দল ছাড়ার কথা জানিয়েছিলেন কৈলাস। সেই চিঠির ছত্রে ছত্রে ছিল দলের বর্তমান অবস্থান এবং কাজকর্ম নিয়ে অসন্তোষ। তাঁর মতে, দলের অন্দরেই একাধিক ‘কঠিন চ্যালেঞ্জ’-এর মুখে পড়তে হচ্ছে আপকে। তিনি লিখেছেন, “সাধারণ মানুষকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি ভুলে গিয়ে রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা পূরণের কথা ভাবা হচ্ছে। ফলে অনেক প্রতিশ্রুতিই অপূর্ণ থেকে যাচ্ছে।” কৈলাসের অভিযোগ ছিল, আপ নিজস্ব রাজনৈতিক স্বার্থের জন্য লড়াই করছে। সেই কারণে দিল্লির সাধারণ মানুষ ন্যূনতম নাগরিক পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। টেনে এনেছিলেন যমুনা নদীর দূষণ প্রসঙ্গ। তাঁর অভিযোগ, যমুনাকে পরিষ্কার করার প্রতিশ্রুতি দিলেও আপ সরকার তা পূরণ করতে কোনও পদক্ষেপ করেনি।

Advertisement

কৈলাসের দল ছাড়ার পরই তাঁর বিরুদ্ধে সরব হতে শুরু করে আপ। আপ নেতাদের একাংশের মতে, বিজেপির চাপের মু‌খেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কৈলাস। এর আগে ইডি এবং আয়কর দফতর তাঁর বাড়িতে হানা দিয়েছিল। আপ সূত্রে দাবি, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার নজর রয়েছে তাঁর উপর। সম্ভবত সেই কারণেই দল ছাড়ছেন কৈলাস। আপ নেতা সঞ্জয় সিংহও সেই অভিযোগ তুলেছিলেন। তবে বিজেপিতে যোগ দিয়ে কৈলাস স্পষ্ট করেন, তাঁর উপর কোনও চাপ ছিল না।

বছর পঞ্চাশের কৈলাস দীর্ঘ দিন আপের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং সরকারে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দফতরের দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন। দিল্লি সরকারের স্বরাষ্ট্র, পরিবহণ, তথ্যপ্রযুক্তি এবং নারী ও শিশু কল্যাণ দফতরের মন্ত্রী ছিলেন তিনি। রবিবার কেজরীওয়ালের পাশাপাশি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অতিশী মারলেনাকেও চিঠি লিখে মন্ত্রিত্ব ছাড়ার কথা জানিয়েছিলেন। উল্লেখ্য, আগামী বছরেই দিল্লিতে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। তার আগে গহলৌতের দলত্যাগ এবং বিজেপিতে যোগ আপকে বেশ ধাক্কা দিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement