Joshimath land subsidence

জোশীমঠ বাঁচানো সম্ভব? না কি বিপর্যয় বাড়বে? বুঝতে সাত বিশেষজ্ঞের দল গঠন করল কেন্দ্র

জোশীমঠের ভবিষ্যত কী হতে চলেছে, সে ব্যাপারে জানতে কেন্দ্র অনেকটাই নির্ভর করছে সাত বিশেষজ্ঞের দলের রিপোর্টে। তবে ইতিমধ্যেই এই পাহাড়ি জনপদে পৌঁছে গিয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

দেহরাদূন শেষ আপডেট: ০৮ জানুয়ারি ২০২৩ ১৯:৫৯
Share:

রাস্তায় এবং বাড়ির দেওয়ালে তৈরি হয়েছে চওড়া ফাটল, যেন পা ফেললেই ধসে যাবে। ছবি : পিটিআই।

যেন পাহাড় ছেড়ে ধসে পড়তে চাইছে গোটা একটা জনপদ। রাস্তায়, বাড়িতে ফাটল দেখে মনে হতে পারে পাহাড়ের গা থেকে আলগা হওয়া এখন বোধ হয় সময়ের অপেক্ষা। এই পরিস্থিতিতেও তীর্থক্ষেত্র বদ্রীনাথের প্রবেশ পথ জোশীমঠকে বাঁচানোর চেষ্টা শুরু করল কেন্দ্র। উত্তরাখণ্ড সরকার যখন জোশীমঠকে বাসের অযোগ্য বলে ঘোষণা করে দিয়েছে, তখন কেন্দ্রের উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে তৈরি করা হল ৭ সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ দল। যাদের কাজ হবে জোশীমঠের পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখে কেন্দ্রকে জানানো, এই পাহাড়ি জনপদকে আদৌ বাঁচানো সম্ভব কি না।

Advertisement

রবিবারই জোশীমঠের পরিস্থিতি নিয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে বসেছিল কেন্দ্র। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব পি কে মিশ্র। সেখানেই সিদ্ধান্ত হয় এই ৭ বিশেষজ্ঞের দল তৈরির বিষয়ে। যারা জোশীমঠের পরিস্থিতি বিচার বিশ্লেষণ করে কেন্দ্রকে রিপোর্ট দেবে। এ ছাড়াও বর্ডার ম্যানেজমেন্ট সচিব এবং জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষের (এনডিএমএ) সদস্যরা সরেজমিনে জোশীমঠে গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে রিপোর্ট দেবে কেন্দ্রকে।

তবে জোশীমঠের ভবিষ্যত কী হতে চলেছে, সে ব্যাপারে জানতে কেন্দ্র অনেকটাই নির্ভর করছে ৭ বিশেষজ্ঞের দলের রিপোর্টে। কেন্দ্রের তৈরি এই দলে থাকছেন, এনডিএমএ-র বিশেষজ্ঞ, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা সংস্থা (এনআইডিএম)-র প্রতিনিধি, এ ছাড়া ভারতীয় ভূতত্ত্ব নিরীক্ষণ সংস্থা (জিওলজিকাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া), রুরকি আইআইটি-র বিশেষজ্ঞ, হিমালয়ের ভূতত্ত্ব সংক্রান্ত ওয়াদিয়া ইনস্টিটিউটের বিশেষজ্ঞ, ভারতের জলবিদ্যা সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠান (ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হাইড্রোলজি)-এর প্রতিনিধি এবং কেন্দ্রীয় নির্মাণ সংক্রান্ত গবেষণা প্রতিষ্ঠানের বিশেষজ্ঞরা।

Advertisement

ইতিমধ্যেই জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর একটি দল এবং রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলার ৪টি দল জোশীমঠে পৌঁছে গিয়েছে। কেন্দ্র জানিয়েছে, তারা আপাতত সেখানেই থাকবে। উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই বিজ্ঞানীরা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে কারণ খুঁজে বের করার কাজ শুরু করেছে। এর পাশাপাশিই কেন্দ্রের তরফেও জোশীমঠকে বাঁচানোর স্বল্প, মধ্য এবং দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার বিষয়ে ভাবনা চিন্তা চলছে।

প্রসঙ্গত, বদ্রীনাথ ছাড়াও হেমকুণ্ড সাহিবে তীর্থে যাওয়ার অন্যতম প্রবেশ পথ হল জোশীমঠ। এই ছোট্ট পাহাড়ি জনপদ এবং তার চারপাশে নির্মাণ কাজ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই প্রশাসনকে সতর্ক করছিলেন বিশেষজ্ঞরা। এমনকি, জলবিদ্যুতের কাজ নিয়েও সতর্ক করা হয়েছিল প্রশাসনকে। ধসের ভবিষ্যদ্বাণীও করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদেরই একাংশ মনে করছেন, সময়ে সতর্ক হলে এই দিন দেখতে হত না উত্তরাখণ্ড প্রশাসনকে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement