বৃহস্পতিবার আদালতের বাইরে ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। ছবি: পিটিআই।
ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকে বৃহস্পতিবার রাত কাটাতে হবে জেলে। রাঁচীর বিশেষ আদালত তাঁর হেফাজত প্রসঙ্গে রায় সংরক্ষিত রেখেছে। শুক্রবার এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হবে। তার আগে বৃহস্পতিবার হেমন্তকে জেল হেফাজতে থাকতে বলা হয়েছে।
রাঁচীর বিশেষ আদালতে বৃহস্পতিবার সকালে হেমন্তকে হাজির করায় ইডি। তাঁকে ১০ দিনের জন্য হেফাজতে চেয়ে আবেদন জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা। আদালত সে বিষয়ে কোনও নির্দেশ দেয়নি। শুধু জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার জেল হেফাজতে রাখা হোক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে।
উল্লেখ্য, হেমন্ত ইতিমধ্যে নিজের গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। শুক্রবার তাঁর মামলাটি শুনবে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চ।
জমি জালিয়াতি মামলায় হেমন্তের নাম জড়িয়েছে। ৬০০ কোটি টাকার ‘দুর্নীতি’র অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। সেই তদন্তের সূত্রে বুধবার দুপুরে হেমন্তের রাঁচীর বাড়িতে তল্লাশি চালায় ইডি। প্রায় সাত ঘণ্টা তল্লাশির পরে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। তার আগে রাজভবনে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন হেমন্ত। ঝাড়খণ্ডের শাসকদল জেএমএম জানায়, বিধানসভায় হেমন্তের বদলে তাঁরা দলনেতা হিসাবে নির্বাচিত করছেন রাজ্যের বর্তমান পরিবহণমন্ত্রী চম্পই সোরেনকে।
গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ করে এর আগে ঝাড়খণ্ড হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন হেমন্ত। পরে সেখান থেকে আবেদন প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। শীর্ষ আদালতে আবেদন জানান তিনি। আবেদনে ইডির বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ করেছেন হেমন্ত। তাঁর দাবি, রাজ্যের গণতান্ত্রিক ভাবে নির্বাচিত সরকারকে অস্থির করে তোলার জন্যই তাঁকে গ্রেফতারির পরিকল্পনা করা হয়েছে। শুক্রবার মামলার শুনানি হবে সুপ্রিম কোর্টে।