—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
ইজ়রায়েলের নাগরিকদের জন্য দেশের দরজা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মলদ্বীপ প্রশাসন। ফলে ভারত মহাসাগরের দ্বীপরাষ্ট্রটিতে বেড়াতে যেতে পারবেন না ইজ়রায়েলি পর্যটকেরা। এই পরিস্থিতিতে বেড়ানোর বিকল্প গন্তব্য হিসাবে ভারতের সমুদ্রতটগুলিতে বেছে নেওয়ার পরামর্শ দিল নয়াদিল্লির ইজ়রায়েলি দূতাবাস। সোমবার ইজ়রায়েলের দূতাবাসের তরফে দেশের পর্যটকদের লক্ষদ্বীপ, গোয়া, কেরল, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের সমুদ্রতটে যাওয়ার ‘পরামর্শ’ দেওয়া হয়েছে। ইজ়রায়েলি দূতাবাসের এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডল থেকে একটি পোস্ট করে লেখা হয়, মলদ্বীপ আর ইজ়রায়েলিদের স্বাগত জানাবে না। কিন্তু ভারতের বেশ কিছু অতুলনীয় সমুদ্রতট রয়েছে, যেখানে আমাদের পর্যটকদের স্বাগত জানানো হবে।”
ইজ়রায়েলের নাগরিকদের দেশে প্রবেশ নিষিদ্ধ করতে চলেছে মলদ্বীপ। সম্প্রতি তাদের ক্যাবিনেট বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে খবর। মলদ্বীপ সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, তারা ইজ়রায়েলিদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করার জন্য দেশের আইনে প্রয়োজনীয় সংশোধন করবে।
প্রায় আট মাস ধরে যুদ্ধ চলছে পশ্চিম এশিয়ায়। প্যালেস্টাইনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের বিরুদ্ধে গত অক্টোবরে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তার পর থেকে দুই তরফেই বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। মারা গিয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। গাজ়ায় নির্বিচারে মুহুর্মুহু গোলা বর্ষণ করেছে ইজ়রায়েল। যা এখনও থামেনি। গাজ়ায় ইজ়রায়েলের এই হামলার প্রতিবাদ করেছে অনেক দেশ। এমনকি, রাষ্ট্রপুঞ্জের তরফেও শান্তিস্থাপনের কথা বলা হয়। কিন্তু যুদ্ধ থামেনি। গাজ়ায় হামলার প্রতিবাদেই মলদ্বীপ ইজ়রায়েলি নাগরিকদের নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
মলদ্বীপের সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, প্রতি বছর ভারতের দক্ষিণ-পশ্চিমের এই দ্বীপরাষ্ট্রে পৃথিবীর নানা প্রান্ত থেকে ১০ লক্ষের বেশি বিদেশি পর্যটক আসেন। তাঁদের মধ্যে ইজ়রায়েল থেকে আসেন অন্তত ১৫ হাজার মানুষ। মলদ্বীপ সরকারের সিদ্ধান্তে তাই কিছুটা হলেও প্রভাব পড়বে পর্যটন শিল্পের উপর, মনে করছেন পর্যবেক্ষকেরা।