GDP

বৃদ্ধিতে বাড়ল আশঙ্কা, তোপ দাগল কংগ্রেস

উদ্বেগের বোঝা আরও বাড়াল স্টেট ব্যাঙ্কের গবেষণা শাখার রিপোর্ট। তারা জানিয়েছে, এ বছর বৃদ্ধির হার হবে আরও কম (৬.৩%)।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৯ জানুয়ারি ২০২৫ ০৭:৪১
Share:

কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ। —ফাইল চিত্র।

চলতি অর্থবর্ষে (২০২৪-২৫) জিডিপি বৃদ্ধির হার ৬.৪ শতাংশে আটকে যাবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে জাতীয় পরিসংখ্যান দফতর (এনএসও)। এরই মধ্যে উদ্বেগের বোঝা আরও বাড়াল স্টেট ব্যাঙ্কের গবেষণা শাখার রিপোর্ট। তারা জানিয়েছে, এ বছর বৃদ্ধির হার হবে আরও কম (৬.৩%)। এই অবস্থায় কেন্দ্রের উদ্দেশে নতুন করে তোপ দাগল কংগ্রেস। তাদের বক্তব্য, অবিলম্বে সক্রিয় পদক্ষেপ না করলে অর্থনীতির আকাশ থেকে মেঘ কাটা কঠিন। উল্লেখ্য, ২০২৩-২৪ সালে বৃদ্ধির হার ছিল ৮.২%।

Advertisement

জুলাই-সেপ্টেম্বরে জিডিপি বৃদ্ধির হার নেমেছিল ৫.৪ শতাংশে। যা সাত ত্রৈমাসিকের সর্বনিম্ন। আশঙ্কা ছড়াচ্ছিল সেই সময় থেকেই। মঙ্গলবার এনএসও জানায়, উৎপাদন ক্ষেত্রের খারাপ ফল এবং বিনিয়োগ ঝিমিয়ে থাকার ফলে অর্থনীতি গতি হারাচ্ছে। গত বছরের বাজেটের সময়ে আর্থিক সমীক্ষায় ৬.৫%-৭% বৃদ্ধির কথা বলা হলেও সেই জায়গা থেকে এক ধাক্কায় পূর্বাভাস অনেকটা কমায় তারা। একই দিনে ব্রোকারেজ সংস্থা এইচএসবিসি ৬.২% বৃদ্ধির পূর্বাভাস দেয়। ফলে চরমে পৌঁছয় উদ্বেগ।

বুধবার স্টেট ব্যাঙ্কের গবেষণা শাখা জানিয়েছে, গত দু’বছরে মূল্যবৃদ্ধি ধরে মাথাপিছু জিডিপি প্রায় ৩৫,০০০ টাকা বেড়েছে। যা ইতিবাচক। কিন্তু সামগ্রিক ভাবে চাহিদা কমার বিরূপ প্রভাব পড়েছে মূলধন সৃষ্টিতে। সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, গত ঋণনীতিতে ৬.৫% বৃদ্ধির পূর্বাভাস করেছিল রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক। এনএসও এবং স্টেট ব্যাঙ্কের পূর্বাভাস তার চেয়েও কম। ফেব্রুয়ারির ঋণনীতিতে শীর্ষ ব্যাঙ্ক ফের পূর্বাভাস বদল করে কি না, সে দিকে নজর রাখতে হবে। শিল্প ক্ষেত্র-সহ সংশ্লিষ্ট সমস্ত মহলও ১ ফেব্রুয়ারির বাজেটের দিকে তাকিয়ে। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন চাহিদা বৃদ্ধির জন্য পদক্ষেপ করেন কি না, তার উপরে অনেক কিছু নির্ভর করছে।

Advertisement

এ দিন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ বিবৃতিতে বলেছেন, ‘‘দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে ব্যক্তিগত খরচ বৃদ্ধির হার ৭.৪% থেকে ৬ শতাংশে নেমেছে। গাড়ি বিক্রি চার বছরের সর্বনিম্ন। মধ্যবিত্ত শ্রেণি সঙ্কুচিত হয়ে আসায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে কর্পোরেট সংস্থাগুলি। বিক্রিবাটা কমে আসা বৃদ্ধির হার কমার অন্যতম কারণ তো বটেই, তা বেসরকারি বিনিয়োগ হ্রাসেরও কারণ।’’ এই অবস্থায় অর্থনীতিকে ঘুরিয়ে দাঁড় করাতে গরিবদের রোজগার বৃদ্ধি, ১০০ দিনের কাজের টাকা বাড়ানো, শস্যের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (এমএসপি) বাড়ানো, মধ্যবিত্তের জন্য আরও কর ছাড় এবং জিএসটি-র হার সরল করা সহ দ্রুত বেশ কিছু সক্রিয় পদক্ষেপ করতে হবে।

কংগ্রেসের আরও বক্তব্য, গত বাজেটে মূলধনী খাতে ১১.১১ লক্ষ কোটি টাকা খরচের কথা বলেছিল মোদী সরকার। অথচ নভেম্বর পর্যন্ত করতে পেরেছে মাত্র ৫.১৩ লক্ষ কোটি। আগের বছরের থেকে ১২% কম। অধিকাংশ পূর্বাভাসেই বলা হচ্ছে, সরকার এ বছর মূলধনী খরচের নির্ধারিত লক্ষ্যে পৌঁছতে পারবে না। সরকারের এই ব্যর্থতাও বৃদ্ধির হার মাথা নামানোর আংশিক কারণ। রমেশের কথায়, ‘‘এনএসও-র পূর্বাভাস চার বছরের সর্বনিম্ন। শুধু তা-ই নয়, রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক তাদের অনুমান ৭.২% থেকে কমিয়ে যে ৬.৬% করেছে, নতুন পূর্বাভাস তার চেয়েও কম। অল্প সময়ের মধ্যে অর্থনীতি সংক্রান্ত মূল্যায়ন বিপুল ভাবে কমেছে। এর মূল কারণ উৎপাদনের মতো গুরুত্বপূর্ণ মাপকাঠির অবনতি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement