Protests

ফি নিয়ে আন্দোলন: শিক্ষাকর্মীকে হেনস্থার অভিযোগ

স্কুলে আন্দোলন চলছে মঙ্গলবার থেকে। এসএফআইয়ের এক নেত্রী স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী মিলিয়ে আট জনের বিরুদ্ধে থানায় আন্দোলনে বাধা দিয়ে মারধর-সহ একাধিক অভিযোগ করেছেন।

Advertisement

সামসুদ্দিন বিশ্বাস

শেষ আপডেট: ০৯ জানুয়ারি ২০২৫ ০৭:৩৮
Share:

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির ফি বেশি নেওয়ার অভিযোগে বুধবার সকালে বাম ছাত্র-যুব সংগঠনের আন্দোলন চলছিল বহরমপুরের সরকার পোষিত হাই স্কুল গোরাবাজার আইসিআইয়ের সামনে। আন্দোলনকারীদের চাপে স্কুলের এক শিক্ষাকর্মীকে থাপ্পড় মারা ও কান ধরতে বাধ্য করা হয় বলে অভিযোগ। তবে ডিওয়াইএফআইয়ের জেলা সম্পাদক সন্দীপন দাস মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘‘বিক্ষোভ হচ্ছিল। হঠাৎ ওই শিক্ষাকর্মী রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে নিজে থেকেই কান ধরেন।’’ স্কুল কর্তৃপক্ষ থানায় অভিযোগ করেছেন। ওই কর্মী এই বিষয়ে মন্তব্য করতে চাননি।

Advertisement

স্কুলে আন্দোলন চলছে মঙ্গলবার থেকে। এসএফআইয়ের এক নেত্রী স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী মিলিয়ে আট জনের বিরুদ্ধে থানায় আন্দোলনে বাধা দিয়ে মারধর-সহ একাধিক অভিযোগ করেছেন। পাল্টা অভিযোগ করেছেন স্কুলের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক আশিস মণ্ডলও। তিনি বলেন, ‘‘মঙ্গলবারও এসএফআই কর্মীরা স্কুলে এসে আন্দোলনের নামে জনা তিন শিক্ষককে মারধর করেছেন।’’

সরকারি নির্দেশ মতো, সরকারি বা সরকার পোষিত স্কুলে বছরে উন্নয়ন ফি ২৪০ টাকার বেশি নেওয়া যাবে না। কেন বেশি ফি নেওয়া হচ্ছে? আশিসের দাবি, ‘‘৭৫০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। নানা কারণে এই ফি না হলে স্কুল চালানো যাবে না।’’ বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী সমাজমাধ্যমে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের নির্দেশিকা দিয়ে বলেছেন, ‘‘শিশুদের এবং ছাত্রদের মৌলিক অধিকারগুলি যাতে সুরক্ষিত থাকে, সে দিকে আপনার নজরদারি আশা করি।’’ তৃণমূলের মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অপূর্ব সরকার বলেন, ‘‘এ বিষয়ে সরকারি নির্দেশিকা না মানলে, রাজ্য পদক্ষেপ করবে।’’ জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) অমরকুমার শীল বলেন, ‘‘বিদ্যালয়ে ভর্তির সময় উন্নয়ন ফি ২৪০ টাকার বেশি নেওয়া যাবে না, সে কথা সব স্কুলকে জানানো হয়েছে।’’ তার পরেও কোনও স্কুল অতিরিক্ত টাকা নেয়, কী ভাবে? বিদ্যালয় পরিদর্শক বলেন, ‘‘চিঠি দিয়ে সে টাকা ফেরত দিতে বলব।’’

Advertisement

শিক্ষাকর্মীর ঘটনা প্রসঙ্গে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি নাজমুল মিঞা সানশাইন বলেন, ‘‘বামেরা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সম্মান করে না।’’ এসএফআইয়ের জেলা নেতা শাহনওয়াজ ইসলামের দাবি, ‘‘এখানে কাউকে মারধরের প্রশ্ন নেই। অতিরিক্ত ফি নিয়ে প্রশ্ন তোলায় আমরাই আক্রান্ত।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement