PM CARES Fund

করোনাকালে আর্থিক অনিয়ম নিয়ে তদন্ত মহারাষ্ট্রে, পাল্টা উদ্ধবের নিশানায় পিএম-কেয়ার্স

কোভিডের প্রতিষেধক তৈরির প্রক্রিয়ায় গতি আনতে পিএম-কেয়ার্স তহবিল থেকে ১০০ কোটি টাকা দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল ২০২০ সালের ১৩ মে প্রধানমন্ত্রীর দফতর (পিএমও)-এর প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

মুম্বই শেষ আপডেট: ২৪ জুন ২০২৩ ১৬:৫৪
Share:

উদ্ধব ঠাকরের মুখে পিএম-কেয়ার্স তহবিলে অনিয়মের অভিযোগ। গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।

অভিযোগ উঠেছিল বেশ কিছু দিন আগে থেকেই। এ বার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর তৈরি পিএম-কেয়ার্স তহবিলে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে ইডি (এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট) তদন্ত দাবি করলেন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা শিবসেনা (বালাসাহেব) নেতা উদ্ধব ঠাকরে। উদ্ধবের অভিযোগ, অতিমারি পরিস্থিতিতে পিএম-কেয়ার্স (প্রাইম মিনিস্টার্স সিটিজেন অ্যাসিস্ট্যান্স অ্যান্ড রিলিফ ইন এমারজেন্সি সিচ্যুয়েশন ফান্ড) ব্যবহারে অনিয়ম হয়েছে।

Advertisement

করোনা পরিস্থিতিতে মহারাষ্ট্রের মহামারী আইন এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন কার্যকর ছিল। সে সময় বিরোধীদের পরিচালিত বিভিন্ন পুরসভায় চিকিৎসা পরিষেবা সংক্রান্ত বরাত দেওয়ার ক্ষেত্রে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে সম্প্রতি মহারাষ্ট্রের শিন্ডেসেনা-বিজেপির জোট সরকারের সুপারিশে তদন্তে নেমেছে ইডি। সেই প্রসঙ্গে উদ্ধব বলেন, ‘‘কোনও তদন্তে আমরা ভীত নই। কিন্তু আমরা চাই পিএম-কেয়ার্স তহবিলের অনিয়ম নিয়ে ইডি তদন্ত করুক।

করোনা পরিস্থিতিতে পিএম-কেয়ার্স তহবিল নয়ছয়ের অভিযোগ সম্প্রতি উঠেছে। সে দিকেই ইঙ্গিত করেছেন উদ্ধব। কোভিডের প্রতিষেধক তৈরির প্রক্রিয়ায় গতি আনতে পিএম-কেয়ার্স তহবিল থেকে ১০০ কোটি টাকা দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল ২০২০ সালের ১৩ মে প্রধানমন্ত্রীর দফতর (পিএমও)-এর প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে। কিন্তু তথ্যের অধিকার আইনে (আরটিআই) প্রশ্নের উত্তরে জানা গিয়েছে, সেই টাকা না পেয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক, না পেয়েছে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)।

Advertisement

কেন্দ্রের জৈবপ্রযুক্তি দফতর উত্তর এড়িয়েছে। অন্য দিকে, প্রধানমন্ত্রীর দফতর ফের জানিয়ে দিয়েছে যে, পিএম-কেয়ার্স কোনও সরকারি সংস্থা নয়। কাজেই সেটা তথ্যের অধিকার আইনের আওতায় পড়ছে না। আদালতের কাছে আগেই হলফনামা দিয়ে কেন্দ্র জানিয়েছে, স্বেচ্ছাদানের ভিত্তিতে পরিচালিত জনসেবামূলক প্রতিষ্ঠান (পাবলিক চ্যারিটেবল ট্রাস্ট)। এটি কোনও সরকারি সংস্থা নয়। তাই সংবিধানের ১২ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী তথ্যের অধিকার আইনের আওতায় এই তহবিল সংক্রান্ত কোনও প্রশ্ন তোলা যেতে পারে না।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement