যাত্রী সুরক্ষা নিয়ে বার বারই প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় ভারতীয় রেলকে। রেল সুরক্ষা বাহিনী (আরপিএফ) থাকলেও আপত্কালীন পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে এ বার বিশেষ সুরক্ষা বাহিনী মোতায়েন করতে চলেছে রেল। এই বাহিনী এবং তার কাজ সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নেওয়া যাক।
রেলের নতুন এই বাহিনীর নাম ‘কম্যান্ডোজ অব রেলওয়েজ সেফটি’ সংক্ষেপে ‘কোরাস’।
রেল সুরক্ষার জন্য এই নতুন কম্যান্ডো ইউনিট মোতায়েনের কথা সম্প্রতি ঘোষণা করেছেন রেলমন্ত্রী পীযূষ গয়াল।
‘কোরাস’ কম্যান্ডোদের মূলত জম্মু-কাশ্মীর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং মাওবাদী প্রভাবিত এলাকায় মোতায়েন করা হবে। পাশাপাশি, ওই সব এলাকায় রেলের যে বড় বড় প্রোজেক্ট হবে সেখানেও এই বাহিনীকে মোতায়েন করা হবে বলে জানিয়েছে রেল।
রেল সূত্রে খবর, প্রাথমিক ভাবে রেলের ১৮টি জোনে মোতায়েন থাকা রেলওয়ে প্রোটেকশন স্পেশাল ফোর্স (আরপিএসএফ) –এর ১৪টি ব্যাটালিয়ন রয়েছে। তাদের মধ্যে থেকেই একটি ব্যাটালিয়নকে ‘কোরাস’ টিমে সামিল করা হবে।
‘কোরাস’ কম্যান্ডো বাহিনীর জন্য বিশেষ ইউনিফর্ম, হেলমেট, বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ব্যবহার করা হবে। শুধু তাই নয়, অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত থাকবেন কম্যান্ডোরা।
চারটি ধাপে দেশের আলাদা আলাদা ৯টি জায়গায় কোরাস বাহিনীর ট্রেনিং হবে।
কোরাস বাহিনীর প্রশিক্ষণের জন্য হরিয়ানার জগধারীতে গড়ে তোলা হবে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র।
জম্মু-কাশ্মীর এবং মাওবাদী প্রভাবিত এলাকায় আপত্কালীন পরিস্থিতিকে কী ভাবে মোকাবিলা করতে হবে তার জন্য ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ড (এনএসজি)-এর কায়দায় প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে কোরাস বাহিনীকে।
মাওবাদী প্রভাবিত এলাকায় কী ভাবে অভিযান চালাতে হবে সে জন্য অন্ধ্রপ্রদেশ ও তেলঙ্গানা পুলিশের বিশেষ ‘গ্রে হাউন্ডস’ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
ইমপ্রোভাইসড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) ও ল্যান্ডমাইন খুঁজে নিষ্ক্রিয় করা, ট্রেন হাইজ্যাক হলে অভিযান চালিয়ে অপহরণকারীদের হাত থেকে যাত্রীদের উদ্ধার করা, স্নাইপার রাইফেলের সাহায্যে দূর থেকে শত্রুকে খতম করার মতো কাজ করবে এই বাহিনী।
আরপিএফ এবং আরপিএসএফ-এর জওয়ানদের নিয়ে গঠিত কোরাস বাহিনীর নেতৃত্বে থাকবেন আরপিএফ-এর ডিজি।