Samudrayaan India

চন্দ্রযানের পর সমুদ্রযান, জলের ৬০০০ মিটার গভীরে তিন জনকে পাঠাচ্ছে ভারত, ২০২৬-এ অভিযান

সমুদ্রের ৬০০০ মিটার গভীরে নামবে ভারতের ‘মৎস্য ৬০০০’। এই ডুবোযানে চড়ে গভীর সমুদ্রে দুঃসাহসিক অভিযানে যাবেন ভারতের তিন সমুদ্রচারী।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

চেন্নাই শেষ আপডেট: ০৩ অগস্ট ২০২৩ ১৭:৪১
Share:

ভারতের সমুদ্রযান ‘মৎস্য৬০০০’। ছবি: সংগৃহীত।

চন্দ্রযান-৩ চাঁদের উদ্দেশে পাড়ি দিয়েছে। পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণের টান কাটিয়ে চাঁদের দিকে এগিয়ে চলেছে নিজস্ব গতিতে। মহাকাশের পাশাপাশি মহাসমুদ্রেও পিছিয়ে নেই ভারত। দুঃসাহসিক এক সমুদ্র অভিযানের প্রস্তুতি চলছে। রাজ্যসভায় সে কথাই জানিয়েছেন কেন্দ্রের বিজ্ঞান বিষয়ক মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু।

Advertisement

বৃহস্পতিবার রাজ্যসভায় ভারতের সমুদ্রযানের প্রকল্প ঘোষণা করেছেন কিরেণ। তিনি জানিয়েছেন, গভীর সমুদ্রে একটি সমুদ্রযান পাঠানোর তোড়জোড় শুরু করেছে ভারত। ডুবোযানে চড়ে তিন জন সমুদ্রচারীকে জলের ৬০০০ মিটার গভীরে পাঠানো হবে। ভারতে এর আগে এই ধরনের কোনও উদ্যোগ দেখা যায়নি।

এই প্রকল্পের রূপায়নে আরও তিন বছর সময় লাগবে। সমু্দ্রযান জলে নামবে ২০২৬ সালে। চেন্নাইয়ের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ওশান টেকনোলজি এই প্রকল্পের জন্য সমুদ্রের ডুবোযানটি তৈরি করছে। তার নাম দেওয়া হয়েছে ‘মৎস্য ৬০০০’।

Advertisement

ডুবোযানে চড়ে গভীর সমুদ্রে পৌঁছে ভারতের সমুদ্রচারীরা পারিপার্শ্বিক পর্যবেক্ষণ করবেন। ওই গভীরতায় সমুদ্রে কী কী পাওয়া যায়, জীববৈচিত্র্য কেমন, তা খতিয়ে দেখা হবে। তবে এই প্রকল্পে সমুদ্রের কোনও ক্ষতি হবে না বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা।

কেন্দ্রের ব্লু ইকনমি নীতিকে সমর্থন করে সমুদ্র অভিযানের এই প্রকল্প। ওই নীতির লক্ষ্য হল, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের স্বার্থে সমুদ্র সম্পদের সম্পূর্ণ সদ্ব্যবহার এবং সমুদ্রকে কাজে লাগিয়ে কর্মসংস্থান, জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন। সমুদ্রযানের মাধ্যমে সে সব সম্ভব হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement