আসানসোল পুরনিগম কার্যালয়। — ফাইল ছবি।
২০২১ সালে আসানসোল পুরনিগমের কুলটি বরো অফিস থেকে ৮৭ লক্ষ টাকা গায়েব হয়ে যাওয়ার অভিযোগ ঘিরে উত্তাল হয়ে উঠল পুরনিগমের বোর্ডের সভা। কংগ্রেস কাউন্সিলর গুলাম সরোবর ওরফে লড্ডন বোর্ড মিটিংয়ে টাকা উধাও হয়ে যাওয়ার কথা তোলেন। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘‘কুলটি বরো অফিসের অর্থ বিভাগের প্রায় ৮৭ লক্ষ টাকা পুরনিগমে জমা দেননি ওই বিভাগের কর্মীরা। এ বিষয়ে ২০২১ সালের ৩ জানুয়ারি স্থানীয় কুলটি থানায় জেনারেল ডায়েরি হয়েছিল। কিন্তু কোনও এফআইআর হয়নি!’’ গুলামের দাবি, কেন এফআইআর হয়নি তার জবাব দিতে হবে মেয়রকে। তাঁর অভিযোগ, পুরনিগমের অর্থ বিভাগের দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে নিয়মিত আর্থিক পরীক্ষানিরীক্ষা চালানো। কিন্তু সেই দফতরের আধিকারিক বা কর্মীরা নজরদারি চালাননি বলে অভিযোগ। তার জেরেই অর্থ উধাও হয়ে যাওয়ার ঘটনা বলে দাবি কংগ্রেস কাউন্সিলরের। এ বিষয়ে অর্থ বিভাগের ফিনান্সিয়াল অফিসার সুকান্ত দত্ত বলেন, ‘‘এই ধরনের একটা অভিযোগ বোর্ডের সভায় উঠেছে শুনেছি। কিন্তু সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আমার কথা বলা বারণ।’’
মেয়র বিধান উপাধ্যায় বলেন, ‘‘বোর্ড মিটিংয়ে এই অভিযোগ উঠেছে, এটা সত্য। আমি মেয়র হওয়ার বহু আগে এই ঘটনা ঘটেছে। বোর্ড মিটিংয়ে টাকা লোপাটের কথা ওঠায় সে বিষয়ে আমরা জানতে পারি। বোর্ড সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এই টাকা লোপাটের ঘটনার জন্য আসানসোল পুরনিগম থানায় এফআইআর করা হবে।’’
এ বিষয়ে আসানসোল পুরনিগমের এক আধিকারিক জানান, বোর্ড মিটিং এর পর বিষয়টি লিখিত ভাবে পুরনিগমের ফিনান্সিয়াল অফিসারকে দেওয়া হবে। তিনি থানায় এফআইআর করবেন।
কুলটি বরো অফিসের অর্থ বিভাগের আধিকারিক জয়দেব চার বলেন, ‘‘এ ধরনের কোনও অভিযোগের কথা জানা নেই। খবরটি পুরোপুরি মিথ্যে। এই ধরনের কোনও ঘটনা কুলটি বরো অফিসে ঘটেনি।’’