সাংবাদিক বৈঠকে কমলনাথ, রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা-সহ অন্য কংগ্রেস নেতারা। ছবি: পিটিআই।
ভোটমুখী মধ্যপ্রদেশে বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র প্রথম যৌথ সমাবেশ হওয়ার কথা থাকলেও এখনই তা হচ্ছে না। শনিবার মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস সভাপতি শিবরাজ সিংহ চৌহান এমনটাই জানিয়েছেন। পরে শরিক দলগুলির সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে নতুন দিন জানানো হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। বিজেপি অবশ্য এই বিষয়ে কংগ্রেসকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি। তাদের বক্তব্য, সনাতন ধর্ম নিয়ে ‘অসংবেদনশীল’ মন্তব্যের জেরে মানুষ বিরোধী জোটের উপর রেগে আছে। জনরোষ থেকে বাঁচতেই কংগ্রেস-সহ অন্য বিরোধী দলগুলি যৌথ সমাবেশ স্থগিত রেখেছে বলে দাবি পদ্মশিবিরের।
এর আগে ‘ইন্ডিয়া’র শরিক দলগুলি বৈঠকে বসে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, যৌথ লড়াইয়ের বার্তা দিতে দেশের নানা প্রান্তে একসঙ্গে সভা করবে তারা। প্রথম যৌথ সমাবেশের স্থান হিসাবে বেছে নেওয়া হয়েছিল ভোটমুখী মধ্যপ্রদেশের রাজধানী ভোপালকে। স্থির হয়েছিল, অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহে এই যৌথ সমাবেশ হবে। উল্লেখ্য যে, চলতি বছরের শেষেই মধ্যপ্রদেশ-সহ পাঁচ রাজ্যে নির্বাচন। মধ্যপ্রদেশে দীর্ঘ দিন ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি। লোকসভা ভোটের আগে এই রাজ্যে বিজেপিকে ক্ষমতাচ্যুত করতে বদ্ধপরিকর কংগ্রেস।
শনিবার মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথের সঙ্গে সাংবাদিক বৈঠক করতে এসে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা বলেন, “কবে এই সমাবেশ হবে, তা নিয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।” কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে শরিক দলগুলির সঙ্গে কথা বলার পর নতুন দিনক্ষণ জানানো হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। শনিবার কংগ্রেস অবশ্য গোটা রাজ্যে ‘জন আক্রোশ যাত্রা’ কর্মসূচির দিনক্ষণ ঘোষণা করেছে। অন্য দিকে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহান কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে বলেন, “এটার নেপথ্যে মানুষের জনরোষ। সনাতন ধর্মকে অপমান করা হয়েছে। মধ্যপ্রদেশের মানুষ এটা ক্ষমা করবেন না।”